চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, ০৮ আগস্ট ২০১৫, শনিবার
যারা মুসলমান হয়ে মুসলমানদের হত্যা করে, কিংবা মানুষ হত্যা করে, ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করে, তারা মুসলমান হতে পারে না। এরা কোন ধর্মে বিশ্বাস করে? এদের কোনো ধর্ম নেই বলে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকাণ্ড এবং তার দায় স্বীকার করে আল কায়দার নামে বিবৃতির প্রেক্ষাপটে শনিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ধর্মের নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশে এটা চলতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কাজেই সেই স্বাধীনতার চেতনাটা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।
ব্লগার হত্যাকাণ্ড ও জঙ্গি তৎপরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোটা পৃথিবীতে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চলছে। এখানেও মাঝেমধ্যে সেই ধাক্কাটা লাগে। বাংলাদেশে ধর্মের নামে রক্তপাত চলতে দেয়া যাবে না। সৌদি আরবের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার সময় বোমা হামলা করে মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে। এখানে আবার ধর্মের নামে ব্লগার হত্যা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে শিশু নির্যাতন, আমি জানি না আমাদের বাঙালির ভেতরে কী ধরনের একটা অদ্ভুত মানসিকতা আছে। একটা ঘটনা ঘটলে প্রবলভাবে যখন প্রচার পায়, তখন সেই ঘটনা আরও ঘটাবার একটা প্রবণতা আমরা দেখি।
নির্যাতন করে শিশুকে হত্যার কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের শাস্তি দিয়ে মানুষকে দেখাতে হবে যে এই অপরাধ করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
শিশু নির্যাতনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের সবার সঙ্গে ছোট ভাই ১০ বছরের শেখ রাসেলকে হারানোর কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। ওই হত্যার যদি বিচার হত, তাহলে একটা দৃষ্টান্তের সৃষ্টি হত।
একটা অপরাধ আরো অপরাধকে উৎসাহিত করে, মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন মেয়ে শেখ হাসিনা।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫