সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বজ্রপাতের সংখ্যা ও প্রাণহানির দিক থেকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ । ফলে প্রয়োজন সচেতনতা । শুধূ সচেতনতার অভাবে প্রতিবছর বজ্রপাত বহু মানুষের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বজ্রপাত মোকাবেলা করা সম্ভভ নয়। তবে সচেতনতার মাধ্যমে দু’টোই কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপশি সচেতনতা মূলক কার্যক্রম।
সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট এর উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
তারা পাঠ্যবইয়ে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে এবং প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার আহবান জানিয়েছেন।
বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ ড.মুনির আহমেদ বলেন, ‘ ২০১৯ সালে ৭ মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে ২৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসময়ে বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন ৯৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৬ জন শিশু, ৮ জন কিশোর-কিশোরী এবং ২০২ জন পুরুষ রয়েছেন। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপশি সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালু করা। ইউরোপের অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেস্টবুকের পাশাপশি বজ্রপাত বিষয়ে পড়ানো হয়। ’
এসএসটিএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, ‘ বজ্রপাত মোকাবেলা করা সম্ভভ নয়। তবে সচেতনতার মাধ্যমে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, বুয়েট, দুর্যোগ ফোরাম,গণমাধ্যমের তথ্য ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাব মতে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বজ্রপাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
এছাড়া, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বজ্রপাতের সংখ্যা ও প্রাণহানির দিক দিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। সার্কভুক্ত অন্য দেশের তুলনায় মৃত্যুর হারও বেশি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসা’র পরিচালক একেএম সাইফুল ইসলাম ড.মুনির আহমেদ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার লিটন কুমার দত্ত, সাজেদুল ইসলাম এবং সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম’র সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা ও গবেষণা সেল প্রধান আব্দুল আলীম।
বার্তা কক্ষ,১৮ জানুয়ারি ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur