Home / সারাদেশ / বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
weather
ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

করোনাভাইরাসের মধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশ ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ।

এর আগে এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে ছিল। পর্যায়ক্রমে এটি ঘনীভূত হয়ে ওই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে যে কোনো সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এটি ভারতের উড়িষ্যা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের যে কোনো স্থানে ২০ বা ২১ মে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম জানান, এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শুক্রবার আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়, নিম্নচাপটি শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে শনিবার দুপুরের পর থেকে পারিপার্শ্বিকতায় বোঝা যাবে। কম্পিউটারের মডেল বলছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটি উড়িষ্যার বিশাখাপত্তমের দিকে যেতে পারে। তবে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত হিসেবে ঘোরে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। সেই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের দিকেও ধাবিত হতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার এদিকে নজর রাখছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ত্বরিতগতিতে মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নেয়া এবং এ ক্ষেত্রে করোনার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মী এবং ঘূর্ণিঝড়ের জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত করা প্রয়োজন।