বঙ্গবন্ধু টানেলের আরেক নাম কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এ টানেল কর্নফুলী নদীর ১শ ৫০ ফুট গভীরে নির্মিত হয়। টানেলটি কর্ণফুলী নদীর দু তীরকে সংযুক্ত করবে। এ টানলে বা সুড়ঙ্গ নির্মিত হলে এটি হবে বাংলাদেশে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ পথ।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এ টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যায় আনুমানিক ৯ হাজার ৮শ ৮০ কোটি টাকা।
প্রকল্পটিতে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে ৫ হাজার ৯শ ১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করছে। এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের সুদের হার ২ %। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনীতির অপার সম্ভাবনা নিয়ে শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেলবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। চট্টগ্রাম শহরের কোলঘেঁষা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এ টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কি.মি.।
টানেলের এক প্রান্তে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা ও অন্য প্রান্তে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা উপজেলা। টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। বর্তমানে এটি উদ্বোধন হচ্ছে ২৮ অক্টোবর।
টানেলটি চালু হলে চট্টগ্রাম শহরের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন হবে। ফলে বাঁচবে সময় ও খরচ। ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করবে এ টানেল। ওয়েব সাইড থেকে সংগৃহীত তথ্য, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ।
চাঁদপুর টাইসম
অক্টোবর ২৭ ,২০২৩
এজি