Home / চাঁদপুর / ‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি কারো কাছে মাথা নত করেননি’
‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি কারো কাছে মাথা নত করেননি’

‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি কারো কাছে মাথা নত করেননি’

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকীর মাসব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট ) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি এমপি।

ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ যিনি, পাড়া গাঁও থেকে উঠে এসে এক বিষ্ময়কর নেতা হয়ে উঠেছেন। সেই মানুষটি কিভাবে এতো মহান নেতা হলেন তা’ আমাদের জানতে হবে। আমরা যদি জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পড়ি তবে অনেক কিছুই জানতে পারবো।

তিনি এমন একজন নেতা যিনি কারো কাছে মাথা নত করেন নি। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন নিজের বুকের মাঝে লালন করেছেন এবং তা’ বাস্তবায়ন করতে জাতিকে প্রস্তুত করে তুলেছেন। সবশেষে তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। তিনি দেশের জন্য তার পরিবারকে সময় দিতে পারেনি। ছোট্ট শেখ রাসেলকে ঠিক মতো আদর করতে পারেনি। তাঁর এ ত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলতুননেছা বঙ্গবন্ধুকে সাহস এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যখন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিতে যাবে, তখন বেগম মুজিব তার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন “তোমার দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে।” এ মহিয়সী নারী শুধুমাত্র ছোট বেলা থেকে তার সাথেই ছিলেন না, তিনি মৃত্যুর সময়ও বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তাঁর পরিবারকে নিয়ে নানা রকম বদনাম রটানো হয়েছিলো। যুদ্ধবিধস্থ দেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে অপ্রাণ সংগ্রাম করেছেন।’

‘ অনেকেই আজকে বলেন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে দলীয় নেতা করেছেন। আপনারা একবার ভেবে দেখুন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর জয়বাংলা আর বঙ্গবন্ধু শব্দটি বুকের মধ্যে আগলে রেখেছে। এ শ্লোগান আর নামটি বুকের মধ্যে ধারণ ও লালন করে আওয়ামী লীগ দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে। একাত্তর, পঁচাত্তর, দু’ হাজ্রা এক-এর খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করেনি। আজকে তাদের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ করা হচ্ছে। বিশ্বের সকল দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু শুধুমাত্র এ দেশেই বিএনপি জামায়াত সরকারকে সহযোগিতা না করে উল্টো ব্যর্থ সরকার বলছে। এরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে এবং ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরেও জঙ্গিবাদকে মদদ দিচ্ছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, বিএনপি জামায়াত ইসলামের ভুল ব্যখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদ করছে। তাদের মধ্যে ইসলামের সঠিক শিক্ষা নেই বলেই তারা এটি করছে। পবিত্র কোরআনে বার বার ক্ষমার কথা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো কথা, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার কথা বলা আছে। সেখানে যারা এর ভুল ব্যখ্যা দিয়ে মানুষ হত্যা করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আমাদের জাতির পিতার কাছে এবং তার কন্যার কাছে শিক্ষা নিতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে নিজের সুখকে দেশের জন্য নিজেকে উৎস্বর্গ করেছেন। মানুষের কল্যাণকে ব্রত হিসেবে নিয়ে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হতে হবে। এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।’

পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আক্তার হোসেন বাচ্চু পাটওয়ারীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ মো. ইউসুফ গাজী শহিদুল্লাহ মাস্টার, আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক আইন বিষয় সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, সাবেক দপ্তর সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব ভূঁইয়া, সাবেক উপদেষ্টা আব্দুর রশিদ সর্দার, আওয়ামী নেতা অ্যাড. রণজিত রায় চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ ঘোষ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, আবু পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ সদস্য শাহাজাহান চোকদার, জেলা ছাত্রীলীগের সভাপতি শেখ মো. মোতালেব, যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইলিয়াস, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক এসএম জয়নাল আবেদীন, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল আলম মাসুম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেন সভাপতি অধ্যাপক মাসুদ।

‘বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি কারো কাছে মাথা নত করেননি’

About The Author

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম

Leave a Reply