নতুন বছরের প্রথম দিন বই পৌঁছে যাবে : এনসিটিবি

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদেশের সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.ফরহাদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমাদের মাধ্যমিকের ৭০ % এবং প্রাথমিকের ৫০ % পাঠ্য পুস্তক প্রস্তুত হয়ে গেছে। প্রস্তুতকৃত পাঠ্যপুস্তকের প্রায় ৮০ % বই মাঠপর্যায়ে পৌছানো সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন,‘ প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে বই পৌছে যাচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতকরা ৮০% পাঠ্যপুস্তক মাঠপর্যায়ে পৌছে যাবে। অবশিষ্ট পাঠ্যপুস্তক জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌছে যাবে বলে আশা করা যায়। ’

সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৩টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কথা রয়েছে। এরমধ্যে প্রাইমারীর (প্রাক প্রাথমিক থেকে ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীসহ) বই ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ২৪৫টি এবং মাধ্যমিকের জন্য ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৮টি বই বিতরণ করা হবে।

১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিকের ১৪ কোটি ৪১ লাখ বই মাঠপর্যায়ে পৌছে গেছে এব্ং প্রস্তুত হয়েছে প্রায় ১৭ কোটির মতো বই প্রস্তুত করা সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া প্রাথমিকের ৫ কোটি ১৯ লাখ বই মুদ্রণ ও বাঁধাই সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ৩ কোটি ৫৭ লাখ বই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বই শিগগিরই স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হবে।

২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে।

এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে বই বিতরণ উদযাপিত হয়ে আসছে।

চাঁদপুরে মাধ্যমিকে বইয়ের চাহিদা ৪০ লাখ ৮১ হাজার

চাঁদপুর ৮ উপজেলার ২শ ৯৩টি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের জন্যে ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৮শ ৩০ কপির চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। মাধ্যমিকর এ বই বিতরণ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলাগুলোর গুদামে এখনও শুরু হয়নি ।

চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্তরের বই প্রতি উপজেলার প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে স্ব স্ব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমেই।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চাঁদপুরে বই বিতরণে দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে ১১ ডিসেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলায় মাধ্যমিক, দাখিল, ইবতেদায়ি,এসএসসি ভোকেশনাল,দাখিল ভোকেশনাল ও ইংরেজি ভার্সনের ৪০ লাখ ৮১ হাজার ৮শ ৩০ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে ।

প্রাপ্ততথ্য মতে,জেলায় ৮ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ৪০ লাখ ৭ হাজার ৯’শ ৭৫ কপি। ভকেশনাল ও ইংরেজি ভার্সন ৭৩ হাজার ৮’শ ৫৫ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়ায ৫ লাখ ৮৫ হাজার ১শ ৭১ কপি ,চাঁদপুর সদরে ৮ লাখ ৫ হাজার ৯শ ৬০ কপি, ফরিদগঞ্জে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪ শ ৫৩ কপি,মতলব উত্তরে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯ শ ৬৩ কপি,মতলব দক্ষিণে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮ শ ৯০ কপি,শাহরাস্তি ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩ শ ৪৫ কপি, হাইমচরে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪ শ ৯৫ কপি এবং হাজীগঞ্জে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮ শ ৬৫ কপি বইয়ের চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে বরে সুত্রটি জানায় ।

তবে মাউসি থেকে এখনও বই বিতরণের চিটি পাইনি বলে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিস ২৬ ডিসেম্বের যোগাযোগ করলে তা জানান।

২৬ ডিসেম্বর ২০২২
এসি

Share