Home / জাতীয় / বিএনপির দুই নেতার ফোনালাপ সংসদে শোনালেন প্রধানমন্ত্রী – ভিডিও
pm-..
ফাইল ছবি

বিএনপির দুই নেতার ফোনালাপ সংসদে শোনালেন প্রধানমন্ত্রী – ভিডিও

ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের দিন বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির দুই নেতার ফোনালাপ সংসদে শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ নভেম্বর সোমবার সংসদে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদের বক্তব্যের পাল্টায় সরকার প্রধান ফোনালাপের রেকর্ডটি শুনিয়ে বলেন, বিএনপিই এই কাজ করে এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর সঙ্গে তার দলের নেত্রী ফরিদা বেগমের এ কথোপকথন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বেশ কয়েক দিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। ১১ বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলায় বিএনপির অনেক নেতাকে আসামি করা হয়েছে।

ওই অডিওতে নারী কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘দেরি হয়ে গেল’

এরপর পুরুষ কণ্ঠ (নিতাই রায় চৌধুরী) বলেন, ‘গাড়ি পোড়ায় ফেলছে?’

‘হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ।’

‘কোন কোন জায়গায়’

‘পার্টি অফিসের সামনে পুলিশ-র‌্যাব এসে পুরা পার্টি অফিস ঘেরাও দিয়ে রাখছে, কোনোরকম সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বের হইছি আরকি’।

এরপর নারী কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘পুলিশের স্টাফ গাড়ি আছে না, সেখানে আগুন দিছে যুবদলের ছেলেরা।‘

কয়টা গাড়ি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পার্টি অফিসের সামনেই, একটা গাড়ি, একটা একটা।’

‘এরপর একদম র‌্যাব আসছে, দাঙ্গা পুলিশ আসছে, এরপর আমরা প্রায় ঘণ্টা দু-এক সেখানে আটকে ছিলাম। এরপর বের হইলাম। আপনি তাইলে শনিবার দিন শনি-রবি যেবার হোক আসবেন, আপনার সঙ্গে একটু কথা ছিল আসতে হবে আরকি’।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন সাহেব নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কিন্তু আদৌ বিএনপি নির্বাচন করে কি না। নির্বাচনে তারা যাচ্ছেন, নমিনেশন নিচ্ছেন, কিন্তু তাদের না কাজ, না প্রচার, না কাজ, বা নির্বাচনের দিনে কোথাও একটা এজেন্ট ঠিকমতো দেবে না, কোনো কিছু করবে না, এবং আপনি যদি মাননীয় স্পিকার প্রতিটা উপনির্বাচন দেখেন, একটা সময় পর তারা নির্বাচন থকে প্রত্যাহার করে অমনি বলে নির্বাচন ঠিক হচ্ছে না। আসলে জনগণের সমর্থন তারা হারিয়েছে অনেক আগেই, ২০০১ সালে যেভাবে চক্রান্ত করে ক্ষমতায় আসার পর তারপর থেকে তারা যে সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটিয়েছে, বিশেষ করে তাদের সেই সন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নাই ২০০১ সালে বিএনপি করে নাই’।

তিনি বলেন, ‘… অগ্নি সন্ত্রাস করে তারা মানুষ পোড়াল এটাই তাদের আন্দোলন, মানুষ খুন করা, আবার ঢাকা সিটির নির্বাচন, যখন একটা সিটির নির্বাচন হচ্ছে, পট করে কয়েকটা বাসে আগুন দেওয়া হলো, আবার তারা নিজেরা আগুন দিয়ে বলছে এটা নাকি সরকারি এজেন্ট’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় স্পিকার আমরা আগুন দিয়ে আমাদের সরকারকে আমরা বদনামের ভাগীদার করব কেন? আর মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়াটা তো আমাদের দায়িত্ব।

সংসদ নেতা বলেন, এখন অন্তত টেকনোলজির কারণে সব জায়গায় সিসিটিভি আছে। সেখানে তো হাতে হাতে ধরা পড়ে যাচ্ছে অনেক জায়গায় যে কারা কারা আগুন দিচ্ছে । একেবার পরিষ্কার, ছবিও আছে আমার কাছে। যদি ছবি দেখানোর সুযোগ থাকত আমি সেটাও দেখাতে পারি যে তাদের একটা মিছিল চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা লোক যেয়ে দেশলাই দিয়ে বাসের মধ্য আগুন দিয়ে দিল। সে ছবিও আমার কাছে আছে। রাস্তার সিসি ক্যামেরা থেকে সেটা নেয়া। নিজেরা আগুন-টাগুন দিয়ে এসে সরকারের ওপর দোষারোপ চাপানো, উদোর পিণ্ডি বুধোড় ঘাড়ে চাপানো- এটা তাদের অভ্যাস।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘তাদের গোড়ায় গলদ। তাদের উত্থান খুনের মধ্য দিয়ে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির এমন কোনো যোগ্য নেতা নাই যাকে নেতৃত্বে বসানো যাবে। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত, তারপরও তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১৬ নভেম্বর ২০২০