ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন আল-আকসা মুসলমানের প্রথম কেবলা। আল-আকসা মুসলমানের পুণ্য ভূমি। এটি মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়, এ দায়িত্ব গোটা মুসলিম উম্মাহর। দীর্ঘ প্রায় আট দশক ধরে দখলদার ইসরাইল গাজা দখল করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। আর ইসরাইলকে সহায়তা করছে পশ্চিমাগোষ্ঠী। পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অশান্ত করে রেখেছে। স্বাধীন রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দখলদার ও মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার ইসরাইলের নামনিশানা দুনিয়া থেকে মুছে ফেলতে হবে।
গতকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বরে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজামাল গাজী সোহাগ, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ মামুনুর রশিদ বেলাল, মাওলানা আফসার উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশাররফ হোসাইন, ডা. বেলাল হোসাইন, মাওলানা আবু নাঈম তানভীর, মাওলানা ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতার ওপর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা নৃশংস, নির্দয়, নির্মম ও চরম অমানবিক। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সন্ত্রাসী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চলমান হামলা হামলা ও সহিংসতার জন্য ইসরাইল দায়ী। অবিলম্বে এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না’। তাই অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসঙ্ঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে জেলা সভাপতি শেখ মুহাম্মদ জয়নাল আবদিন বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন, সম্মানজনক জীবনলাভের সংগ্রামে, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে অতীতে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্ব জেগে ওঠেছে। ইসরায়েলের নামনিশানা দুনিয়া থেকে মুছে দিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল শপথ চত্বর থেকে শুরু হয়ে হকার্স মার্কেট সামনের সড়ক হয়ে হাজী মহসিন রোড হয়ে কুমিল্লা রোড বিপণীবাগ জেলা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৩ অক্টোবর ২০২৩