আকাশ সমান প্রত্যাশা নিয়ে এবার এশিয়া কাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো দলকে উড়িয়ে দিয়ে। কিন্তু এরপরই হঠাৎ যেন ছন্দপতন। টানা দুই ম্যাচে আফগানিস্তান আর ভারতের কাছে হার। খেলায় হার-জিত থাকেই। তবে গত দুই ম্যাচে যতটা খারাপ চেহারায় দেখা গেছে টাইগারদের, তাতে প্রত্যাশার ওই বেলুন চুপসে যেতে বাধ্য।
আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিমত্তায় অনেক পিছিয়ে। তাদের বিপক্ষে রীতিমত ধুঁকতে দেখা গেছে টাইগারদের। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন ব্যাটসম্যানরা। আফগানদের পর ভারতের বিপক্ষেও দুইশর ঘর ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটিং।
এমন খেললে আজই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। আবুধাবিতে আজ তাদের প্রতিপক্ষ সেই আফগানিস্তান। রশিদ-মুজিবদের বোলিংয়ের সামনে গ্রুপপর্বে যেমন ধুঁকেছে টাইগাররা, তাতে আশাবাদীদের কাতারে দাঁড়ানো তো মুশকিলই।
তবে মাশরাফি ওই নৈরাশ্যবাদীদের দলে নন। তার কাছে হিসেব খুবই সহজ। বাংলাদেশকে পরের দুই ম্যাচ জিততে হবে। একটি আফগানিস্তান, আরেকটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। যে কাজটাকে অসম্ভব মনে করছেন না টাইগার অধিনায়ক।
ভারতের বিপক্ষে হারে হতাশ হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস আছে মাশরাফির। তিনি বলেন, ‘হারটা খুবই হতাশাজনক। তবে আমরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাইনি। আমাদের আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। ইতিবাচকতা খুঁজতে হবে, ভুল বের করতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে শক্তভাবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই দল ফাইনালে যাওয়ার আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাবে বলে মনে করেন মাশরাফি। তার ভাষায়, ‘যদি আমরা আফগানিস্তানকে হারাতে পারি। তবে আমার বিশ্বাস, সুপার ফোরের পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস ও সুযোগ পাব আমরা।’
হ্যাঁ, এই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে জানে। ফাইনালে পা রাখতে মাত্র তো দুটি ম্যাচই জিততে হবে। এখনই হাল ছেড়ে দেয়ার সময় নয়। আর যে দলে মাশরাফির মতো অধিনায়ক আছে, সেই দল কি হাল ছেড়ে দিতে পারে!
বার্তা কক্ষ
২৩ সেপেটম্বর,২০১৮