চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন বাসারা নেছারাবাদ ছিদ্দিকীয়া ছালেহিয়া ডি.এস ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে তুমুল হট্রগোলের খবর পাওয়া যায়।
১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল থেকে ঐ এলাকায় সভাপতি পদ নিয়ে দুই তিন পক্ষের লোকজনের টানটান উত্তেজনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না আসায় উক্ত পদ স্থগিত করা হয়। আর এসব নাটকীয় ঘটনাকে মূলত এলাকাবাসী ও নির্বাচিত অভিভাবকরা মাদ্রাসার সুপার মাও. মোশারফ হোসেনকে দায়ী করেন।
মাদ্রাসা ও এলাকাবাসী সৃত্রে জানা যায়, নেছারাবাদ মাদ্রাসার অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি এবং দাতা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশ্রাফী প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
আর এতে উক্ত পদে প্রায় ৩/৪ জনের নাম শুনা গেলেও আলোচনায় ছিলেন উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক মিয়াজী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল করিম মোরশেদ।
নিয়ম অনুযায়ী মাদ্রাসার নির্বাচিত ৮ জন সদস্য সভাপতি পদে প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। কিন্তু সেখানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিজ মনোনিত প্রার্থীর পাল্লা ভারি না দেখে সু-কৌশলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোনে হট্রগোলের আগাম আবাস দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ সুবাদে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মাদ্রাসার সুপার মাও. মোশারফ হোসেন কাছে লিখিত অভিযোগের কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কতিপয় উচ্ছংখল ছেলেদের নিয়ে সভাপতি প্রার্থী মাহমুদুল করিম মোরশেদ আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় নির্বাচন না করার জন্য।
এমনকি প্রিজাইডিং অফিসারকে পথে বাধা প্রদানের কারনে উক্ত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আফরোজ বলেন, বাসারা মাদ্রাসার হট্রগোলের বিষয়টি শুনেছি তবে লিখিত ভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম, ১৫ অক্টোবর ২০১৯