আকবর হোসেন মনির ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আপামর মানুষের কাছে একটি প্রিয় মুখ। মনির তরুণ যুবকদের আইডল। নেতৃত্বের গুনে সে তরুণ, যুবক ও প্রবীণদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন ইতোমধ্যে। ছাত্র জীবন থেকে তিনি ছিলেন কর্মী বান্ধব। সাধারণ কর্মীদের বিপদে এগিয়ে আসা তাকে জনপ্রিয় করে তুলছে।
আকবর হোসেন মনির স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং গণতন্ত্রের রূপকার উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ক্ষুধা দারিদ্র, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদমুক্ত ডিজিটাল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞাবন্ধ।
মনির এ পর্যন্ত যতগুলো দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যান্ত দক্ষতার সাথে তা করেছেন। আকবর হোসেন মনির ১৩নং ফরিদগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের সহ-সভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ফরিদগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন যোগ্যতার সহিত। ২০০১ সাল পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতির বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিএনপি জামায়াত জোটের অত্যাচার জুলুমের মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজনীতির বাহিরে জনকল্যান মূলক কাজ করে মনির সাধারণ মানুষের হৃদয়ও স্পর্শ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে একজন নিবদিত মানুষ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কমিউনিটি পুলিশিং ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোশিয়েশনের সভাপতি, বটতলী স্পটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
পারিবারিকভাবে আকবর হোসেন মনির আওয়ামীলীগের যোগ্য উত্তরসূরী। তার নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ছমিদ কাজী। যিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন।
আকবর হোসেন মনিরের বাবা আবদুল মান্নান বেপারী ১৯৮৭ থেকে ৮৮ সালের দিকে ১৩নং ফরিদগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ পৌর সভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থেকে তাদের খাবার প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহসহ যাবতীয় বিষয়ে সহযোগিতা করেন। আকবর হোসেন মনিরের সহধর্মিনী আসমা আক্তার বর্তমানে ফরিদগঞ্জ পৌরসভা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
দলের প্রয়োজনে মনির অধিকাংশ সময় রাজপথে কাটিয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তৎকালিন বিরোধীদল নেত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার উপর বোমা হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ বিএনপি জামায়াতের হামলায় আহত হয়। ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির করা দু’টি হত্যা মামলার ১৯৭ জন আসামীর মধ্যে মনির ৮ নাম্বার আসামী। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সায়েদ সরকারের নির্বাচন পরিচালনা ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে সোনবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের স্বীকার হয়। এছাড়াও আরো ৩টি রাজনৈতিক মামলায় আকবর হোসেন মনিরকে কারাবরন করতে হয়েছে।
খুব সহসায়ই ফরিদগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনে আকবর হোসেন মনির একজন শক্তিশালী প্রার্থী। তার ছোট্ট কিন্তু বনাঢ্য এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি ফরিদগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের একজন যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তার নেতৃত্বগুণ এবং অতিত কর্মকান্ড বলে দেয় আকবর হোসেন মনির পৌর আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পেলে সুশৃঙ্খলভাবেই দল পরিচালনা করবেন। সাধারণ নেতা কর্মীরা মনে করেন, আগামী দিনে রাজপথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য সব ধরনের যোগ্যতা তার রয়েছে। সে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে ত্যাগীর মূল্যায়িত হবেন এমনটা প্রত্যাশা তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মী সমর্থকদের।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৪ ডিসেম্বর ২০২২