ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে মডেল মসজিদ

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তিন গুন বেশি মূল্যে তিন’শ ফুট দুরুত্বের মধ্যে দুটি মসজিদ থাকা সত্ত্বেও জন বিচ্ছিন্ন স্থানে সরকারি ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে মডেল মসজিদ । একটি হচ্ছে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে, আরেকটি হলো ফরিদগঞ্জ এ আর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিন পাশে।

এই দুটি মসজিদের ঠিক মধ্যেবর্তী স্থানে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের পেছনে জন বিচ্ছিন্ন একটি ডোবায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫টি টাকা ব্যায়ে অত্যাধুনিক মানের নুতন মসজিদ নির্মানের কাজ চলছে জোরেসোরে। লোকালয় বিহীন এ মডেল মসজিদের জায়গা নির্ধারনের পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

তবে মডেল মসজিদ নির্মানের ক্ষেত্রে জনাকীর্ন ও দৃষ্টিনন্দন জায়গা নির্ধারন করা হয়নি বলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি ও পৌর মেয়র মাহফুজুল হক সহ এলাকাবাসী প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পেছনে মোট ৪৩ শতাংশ জমি সরকারি ভাবে অধিগ্রহন করা হয়েছে। প্রায় ৪ কোটি টাকায় ক্রয় করে জায়গায় সরকারী অর্থায়নে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্প্রতি শুরু হয়েছে। জমির মালিক মোট ৭ জনের কাছ থেকে জায়গার বর্তমান মৌজা মূল্যের তিনগুন বেশী দিয়ে ওই জায়গা ক্রয় করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে মতে জমির মালিককে সম্পূর্ন টাকা পরিশোধের পরই ঠিকাদার আবদুল আজিজ কাজটি শুরু করেছে।

জায়গার একাংশের মালিক মোস্তফা গাজী বলেন, আমার বাবার কষ্টের টাকায় ক্রয় করা সেই জায়গাটি আমাদেরই ভোগদখলে রাখার জন্য সেই স্থানে ঘর নির্মান ছাড়াও পুকুর করে তাতে মাছও চাষ করছিলাম। কিন্তু এই জায়গায়ই মসজিদ নির্মান করার জন্য আমি সহ মোট ৭ জন বর্তমান মূল্যেও তিনগুন বেশি হওয়ায় সরকারের কাছে ৪৩ শতাংশ বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে।

অপরদিকে ফরিদগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী আফরোজ এ প্রতিনিধিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়ন করতে মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য সাবেক এমপি ড.শামছুল হক ভুঁইয়া এমপি থাকাকালিন সময়ে একটি জায়গার প্রস্তাবপত্র দিয়েছিলেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভুঁইয়ার দেয়া প্রস্তাবের জায়গার মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা রয়েছে। পরে বর্তমান এমপি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ওই মডেল মসজিদ নির্মানে তিনিও আরো একটি জায়গার প্রস্তাবপত্র দিয়েছিলেন। সেখানেও খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, জায়গার মালিকানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যে কারনে সরকারের দেয়া নীতিমালা হিসেবে উপজেলা সদরেরর নিকটবর্তী স্থান হিসেবে উক্ত স্থানেই মডেল মসজিদ নির্মানের ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন,‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পূর্বেই সরকারি অর্থায়নে মডেল মসজিদ নির্মানে উদ্দেশ্য জায়গা নির্ধারনের প্রস্তাবপত্র পাঠানোর প্রক্রিয় সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যায়ে উক্ত মসজিদটি লোকালয় ও দৃষ্টিনন্দন জায়গায় হলে আরো অনেক ভালো হতো।’

প্রতিবেদক:মো.শিমুল হাছান,২৫ নভেম্বর ২০১৯

Share