Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর ঝরে গেলো ৫টি তাজা প্রাণ
accident

ফরিদগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর ঝরে গেলো ৫টি তাজা প্রাণ

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে বড় একটি অভিশাপ। কারণ একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। সড়ক দুর্ঘটনায় যে চলে যায় হয়তো সে বেঁচে যায় কিন্তু যে পঙ্গু হয়ে যায় তাকে আমৃত্যু সে কষ্ট সাথে করে বয়ে বেড়াতে হয়। এমন একটি বছরও পার করেনি ফরিদগঞ্জবাসী যে বছরটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একটি তাজা প্রাণও ঝরে যায়নি।

ফরিদগঞ্জ থানার সূত্র মতে গত বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন অসংখ্য নারী-শিশু ও পুরুষ। আর সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে ১৮টি।

গত বছর ফরিদগঞ্জে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা হলো:

২৪ জানুয়ারি ১২নং চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের বিষকাটালি গ্রামের নাজিম উদ্দিন নামের এক শিশু ট্রাক্টরের চাপায় নিহত হয়।

২৮ এপ্রিল ইকবাল হোসেন নামের ২৬ বছর বয়সি যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। ২৩ অক্টোবর ফরিদগঞ্জের চান্দ্রায় ট্রাক্টরের চাপায় আফিফ নামের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত হয়।

১৬ নভেম্বর ফরিদগঞ্জের ইসলামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাজেদা বেগম নামে একজন নিহত হয়। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এআরসি) গবেষণা অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ৩৫ হাজার।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার যানবাহনে মৃত্যুর হার ৮৫ দশমিক ৬। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাড়াও আহত ও স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণের হারও কম নয়।

সমাজবিজ্ঞানীদের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যুগোপযোগী আইনের অভাব, অপরিকল্পিত সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ, সড়ক-মহাসড়কগুলোর পাশে হাট-বাজার, পর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার অভাব, অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ব্যবহার, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো ও চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি মো.বারাকাত উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন,‘সড়ককে নিরাপদ রাখতে, জীবনকে নিরাপদ রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চালক এবং পথচারীকে সচেতন করতে আমাদের চেষ্ট অব্যাহত থাকবে। চালকদের সামান্য একটু ভুলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবী চালকদের যাতে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়। অনভিজ্ঞ কোনো চালকের হাতে যেন গাড়ীর চাবি তুলে দেয়া না হয়।’

করেসপন্ডেট
৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৯