Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন
সম্পত্তি

ফরিদগঞ্জে সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন

জমি কিনে খেকোর আক্রোশরে শিকার হয়েছেন খরিদা মালিক। পালিয়ে বেড়িয়েছেন প্রায় ২০ বছর। এক পর্যায়ে বোরকা পড়ে রাতের অন্ধকারে এলাকা ছাড়া হতে হয়েছে তাকে। জমির দখল নিতে তিনি ঘুরেছেন নানান জনের দ্বারে দ্বারে। জমির দখল রাখতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। পাচ্ছেন না সুবিচার।

১৭ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এমনই অভিযোগ করেছেন জমির মালিকানা দাবিদার আবদুল ছাত্তার। ঘটনা উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হর্ণি দূর্গাপুর গ্রামের।

লিখিত বক্তব্যে আবদুল ছাত্তার বলেছেন, গ্রামের নূর মোহাম্মদ বেপারী পৈত্রিক সূত্রে সম্পত্তির মালিক। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলমূলে স্ত্রী বেলায়েতের নেছাকে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন তিনি। বেলায়েতের নেছার নামে জমির বিএস রেকর্ডও হয়েছে। ২০০০ সালে বেলায়েতের নেছার কাছ থেকে সাপকবলা দলিলের মাধ্যমে আমি ১০ শতাংশ জমির মালিকানা গ্রহণ ও ভোগ দখল করি। যাহার দলিল নং ৩৮৩৫, ২০ এপ্রিল ২০০০ খ্রিঃ।

কিন্তু, হঠাৎ করে এলাকা নানান অনৈতিক কাজের হোতা মোঃ আজিজুর রহমান ওই জমির মালিকানা দাবী করেন। আজিজুর রহমান দাবী করেছেন, ১৯৯৪ সালে তিনি বেলায়েতের নেছার স্বামী নুর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ওই জমির সাপকবলা দলিল সৃজন করেছেন। যার কোন বৈধতা নেই। কারণ, জমির মালিক নুর মোহাম্মদের স্ত্রী বেলায়েতের নেছাকে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলে দেয়া মালিকানা এখনও বিদ্যমান। ফলে, বেলায়েতের নেছার কাছ থেকে সাপকবলা দলিল মূলে আমি এখন প্রকৃত মালিক।

দলিলের বিষয়ে এলাকার শালিস ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মোঃ আজিজুর রহমান এর কাছে জানতে চেয়েছেন স্ত্রী বেলায়েতের নেছার নামে দানপত্র দলিল অবৈধ কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বারংবার সময় চেয়ে কোনো জবাব দেননি।

ওই এলাকার বর্তমান মেম্বার আবদুল ছাত্তার বলেন, ১৬ জানুয়ারি সকালে জমিতে কাজ করতে গেলে আজিজুর রহমান দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে ও আমার দোকানের আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন।

তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, জমির মালিকানা দাবী করলে আমাকে জীবনে খুন করে ফেলবেন। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। যে কোনো সময় তিনি আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমি আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক আব্দুস ছোবহান লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক এমকে মানিক পাঠান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মো. মহিউদ্দিন, নুরুন্নবী নোমান, প্রবীর চক্রবর্ত্তী, দেলোয়ার হোসেন বেলাল, নারায়ন রবি দাস প্রমূখ।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৭ জানুয়ারি ২০২২