ফরিদগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ছেলের সাথে ঢাকার জুরাইনে বিবাদের অভিযোগে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার হয়েছেন গ্রামের হানিফ ঢালি ও তার স্ত্রী। হামলা কারীরা হানিফ ঢালিকে তুলে নিয়ে যান। ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে হানিফ ঢালিকে উদ্ধার করেছেন। একই গ্রামের খলিলুর রহমান ও তার বাবার নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা দাবী করেছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা রাতে এ ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার মিরপুর গ্রামের ঢালি বাড়িতে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢালি বাড়ির সামনের মুদি দোকানে বসেছিলেন হানিফ ঢালি (৬০)। ওই সময় খলিলুর রহমান (৩৩) ও তার বাবা (৬০)সহ আনুমানিক ৪৫- ৫০ জন লোক ঢালি বাড়ির সামনে যান। তারা হানিফ ঢালির ছেলে আল আমিন (২৫)কে খুঁজছিলেন। দোকানের সামনে না পেয়ে ওই লোকজন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন।
হানিফ ঢালির স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫) রাত আনুমানিক সাড়ে আট ঘটিকায় বলেন, অনেক লোক পাকা ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে আঘাত ও হল্লাচিল্লা করে। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা খুলে দিলে সবাই ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা আসবাবপত্র তছনছ ও জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। তিনি বলেন, হামলা কারীরা আসবাবপত্র থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে। জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন টাকা অন্তত দুই লাখ হবে। আমার গলার স্বর্ণের চেইন ও আসবাবপত্র থেকে মেয়ের স্বর্ণের অলংকার নিয়েছে। মেয়ের স্বর্ণালংকার নিয়েছে কিনা আমি দেখলে বলতে পারবো। তিনি বলেন, ওই সব লোকের সাথে খলিলুর রহমানের স্ত্রীসহ অন্তত ৩/৪ জন নারী ছিলো।
অপরদিকে, খলিলুর রহমানের বাবা এর বসত ঘরে গেলে তিনি জানান, তার ছেলে খলিলুর রহমান (৩৩)কে ঢাকা শহরে বেদমভাবে পিটিয়েছে হানিফ ঢালির ছেলে মানিক ঢালি (৩০)। এতে, তার ছেলের চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে, আমরা মানিককে হাজির করতে বলেছি। তারা তা না করায় আমরা তার খোঁজ করতে গিয়েছি। দোকানের সামনে না পেয়ে ফিরে এসেছি। হানিফ ঢালি স্ত্রীর দাবী অনুযায়ী, ওই বাড়িতে কে বা কারা ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এমন পশ্নে তিনি বলেন, আমরা জানি না। তাদের সাথে থাকা এক ব্যক্তি দাবী করেছেন, ওই ঘরে শুধু দুই জন নারী ঢুকেছে।
মুঠোফোনে কথা হয় আল আমিনের সাথে। তিনি জানান, খলিলকে আমার ভাই মানিক মারে নাই। ঢাকার জুরাইন এলাকায় মেরেছে অন্য লোক। আমি ছুটে গিয়ে ওদের নিবৃত্ত করেছি ও খলিলকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাথরের ব্যবসা বিষয়ে ওই সংঘাত হয়েছে।
এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.সাইদুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক খোঁজ খবর নিয়েছে ও হানিফ ঢালিকে খলিলদের বসত ঘর থেকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur