ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে ‘মৃত মেয়ে’কে জীবিত উদ্ধার করলো পুলিশ

বাবা বলছেন, মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। পরে বলেন, অপহরণ করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। আবার বলেন, হত্যা করা হয়েছে।

আবুল বাশারের এমন কথাবার্তার পর ‘রাবেয়া আক্তার’কে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।বুধবার রাতে এ বিষয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন ওসি আবদুর রকিব।

ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের। রাবেয়া প্রবাসী আতিকুর রহমানের স্ত্রী ও দুই সন্তানের মা।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া এলাকার আবুল বাশার ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এসে জানান, তার মেয়ে রাবেয়া আক্তারের খোঁজ মিলছে না। পরদিন তিনি ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অপরদিকে রাবেয়ার শ্বশুর মো. ফজল একই দিন তার পুত্রবধূ কাউকে কিছু না বলে চলে গেছে মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে থানা পুলিশ রাবেয়ার অনুসন্ধানকালে তার বাবা আবুল বাশার বিভিন্ন সময়ে জানান, তার মেয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে আবুল বাশার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মৃত্যুসনদ নেয়ার জন্য তদবির করেন। বিষয়টি থানা পুলিশের কানে এলে সন্দেহের উদ্রেক হয়। পরে তারা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাবেয়া জীবিত আছে বলে নিশ্চিত হন।

মোবাইল ফোনে অভয় দিয়ে কৌশলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে আসার পর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে থানায় নেয়া হয়।

এরপর তার বাবা-মা, ভাই-বোনকে বারবার থানা থেকে ফোনে কল করা হলেও রহস্যজনক কারণে কেউ থানায় যাননি। পুলিশ এলাকার ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) রেনুয়ারা বেগম, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন এবং চৌকিদার মাঈনুদ্দিনের হেফাজতে রাবেয়াকে হস্তান্তর করে।

এ সময় রাবেয়া স্বীকার করেন, তিনি বাবার পরিকল্পনায় ঢাকার সূত্রাপুরে ধর্মবোনের বাসায় আত্মগোপনে যান।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব বলেন, রাবেয়া নিখোঁজ অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।

করেসপন্ডেট

Share