ফরিদগঞ্জে মামলা করতে এসে মন্দিরে চুরি, আটক চোর

মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটি কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে এসে থানার সামনের মন্দিরের দানবাক্স থেকে টাকা চুরি করে শেষ রক্ষা হয়নি আকতার হোসেন (২৫) এর। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনার ১০ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের জালে আটক হয় সে। 

বৃহষ্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রেস কনফারেন্সে একথা জানায় থানা পুলিশ।

এসময় প্রেসব্রিফিং এ থানার ওসি মো: সাইদুল ইসলাম জানায়, উপজেলার চরদু:খিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন একজন পেশাদার চোর। তার আতংকে নিজ গ্রামের লোকজন আতংকে থাকে। চুরি করতে গিয়ে সে অন্তত এলাকাবাসীর হাতে ১০/১৫ বার গণপিটুনির শিকার হয়েছে।

সর্বশেষ কয়েকদিন পূর্বে আকতার মাদক সেবন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাতে সে থানায় আসে মারধরের ঘটনায় মামলা করতে। গভীর রাত হওয়ায় সে থানার মুখোমুখি থাকা উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ন জিউর আখড়া ভিতরে প্রবেশ করে দানবাক্স ভেঙ্গে টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।

থানার নাকের ডগায় চুরির ঘটনায় থানা পুলিশ থানার এবং মন্দিরের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চোর সনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে (৬ডিসেম্বর) অভিযুক্ত আকতার হোসেনকে সন্তোষপুর গ্রামের তার বাড়ি থেকে আটক করে। এসময় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

 পুলিশ আরো জানায়, তার বিরুদ্ধে থানায় মাত্র পুর্বের একটি মামলা রয়েছে। চুরির ঘটনায় কেউ মামলা করতে চায় না। ইতিপুর্বে সে চুরির ঘটনায় জেলে গেলে সেখানেও সে জেলের ভিতরেও চুরি করে। এমনকি মারধরের শিকায় হয়ে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সময় ওই চিকিৎসকের অর্থ চুরি করে সে। একথা সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

প্রেসব্রিফিং কালে ওসি(তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,৭ ডিসেম্বর ২০২৩

Share