Tuesday, 14 July, 2015 01:22:35 PM
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ করার নেপথ্য কারিগররা ভরা বর্ষায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। টানা বর্ষণের কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের শতশত ঘেরেরে মাছ ভেসে যাওয়ার আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষীরা।
উপজেলার শতাধিক আবাদকৃত মাছের প্রজেক্ট পানিতে টইটুম্বর হয়ে পড়ায় কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেচপ্রকল্পের নানীপুরস্থ স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি নিস্কাষন অব্যাহত থাকলেও ভরা বর্ষার কারণে বৃষ্টিপাত বন্ধ না হওয়ায় তা তেমন চোখে পড়ছে না।
এদিকে মাছচাষীদের করুন অবস্থা হলেও উপজেলা মৎস্য অফিসের কাছে এই ঘটনার কোন তথ্য নেই।
উপজেলার নোয়াচর, কলেজচর, ধানুয়াচর, মিরপুরচর গাজীপুর, চরবসন্ত , হর্ণিদূগাপুর, কালিরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের আবাদকৃত মাছের ঘের সরেজমিন পরির্দশনে দেখা গেছে, ভরাবর্ষায় টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এসব চর ও খালগুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে আছে। চরের মাঝখানের বাঁধ উপচে পানি বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এর মধ্যেই বেশ কিছু চর পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। আবাদকৃত মাছ রক্ষার্থে চাষীরা বাধেঁর চারপাশের জাল দিয়ে বেড়া দিচ্ছেন।
নোয়াচর, ১০নং নদী, কলেজচর, ধানুয়া চরের সাথে জড়িত মাছ ব্যবসায়ী কামাল মিজি, ইরন সর্দার, সাইফুল মেম্বার জানান, ধানুয়া চরে ৪ কোটি টাকা, নোয়া চরে দেড় কোটি টাকা, কলেজ চরে ৩ কোটি টাকার মাছের আবাদ সহ চাঁদপুর সেচপ্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রায় শতাধিক চরে প্রতিবছর কয়েকশত কোটি টাকার মাছের চাষ হচ্ছে।
মৎস্যচাষী মিছির আলী জানান, তার আবাদকৃত হর্ণিদূগাপুর গ্রামের দুইটি চরের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ভারী বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে।মৎস্য চাষী সাহাবুদ্দিন সউদ জানান, তার বড় একটি মাছের ঘেরের ৮/১০ লক্ষ টাকার মাছ অন্যত্র চলে গেছে।
এসব মাছচাষীরা আরো জানান, অন্তত এক সপ্তাহ বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকলে বা বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্লুইচ গেইট দিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাষণ করলেই মাছ চাষীরা রক্ষা পেতে পারে। নচেৎ কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে তাদের পথে বসতে হবে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের নানুপুর স্লুইচ গেইট দিয়ে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরের পানি নিস্কাষন অব্যাহত থাকলেও ভারী বর্ষণের কারণে মাছচাষীদের তেমন একটা উপকার হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদ মোস্তফা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘এই পর্যন্ত কোন ইউপি চেয়ারম্যান মাছের ঘেরের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে কোন প্রতিবেদন পাঠায় নি। ফলে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।’