Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে ভায়রা কন্যাকে ১৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ : অভিযুক্ত আটক
ধর্ষণ

ফরিদগঞ্জে ভায়রা কন্যাকে ১৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ : অভিযুক্ত আটক

চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জে এবার আপন খালু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। টানা ১৩ দিন আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খালু কামরুল ইসলাম (৪০)। অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামে।

পুলিশ জানায়, ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মেয়েকে লোভ, ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষনের পর এর ভিডিও ধারন করেই ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ধর্ষক বিভিন্ন ভাবে ওই ছাত্রীটিকে বিভিন্ন ভাবে চাপের মুখে রাখে।

আরও পড়ুন… ফরিদগঞ্জে বাবা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণ : ঘাতক আটক

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত কামরুল হোসেনকে আটক করেছে। অভিযুক্ত কামরুল  পাশবর্তী লক্ষ্মীপুর জেলায় রায়পুর উপজেলার পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ মোল্লার ছেলে।

মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস আই নুরুল ইসলাম কৌশল অবলম্বন করে ৭ অক্টোবর,বুধবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

মামলার বিবরণে জানার যায়  দুই বছর যাবৎ বহুবার ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি কামরুল হোসেন। ধর্ষনের ভিডিও তার মোবাইলে ধারণ করে রাখে। সর্বশেষ  গত ২৫ সেপেটম্বর ওই মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক কামরুল ওই মেয়েটিকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বহু খোজখুজির পর গত ৭ অক্টোবর পাশবর্তী রায়পুর পৌর এলাকার খাজুরতলা সেলিম মঞ্জিল থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।

উদ্ধারের পর মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের মেয়েটি উক্ত ঘটনার বিবরন দেয়ার পর মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক কামরুলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দেয়।

মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস আই নুরুল ইসলাম বলেন,৭ অক্টোবর কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশূ নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা কামরুলকে ৮ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাসহ ধর্ষণ ঘটনার বিবরন দিয়ে চাঁদপুরের আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,৮ অক্টোবর ২০২০