Sunday, April 12, 2015 09:10:32 PM
সানাউল হক :
দেশে চলচিত্র শিল্পের অকাল চলছে। আশির দশকে বাংলা ছবিগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলো। বিনোদনের জন্য সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সিনেমা হলে আসতো সিনেমা দেখার জন্য। তৎকালীন চলচিত্রের জোয়ারের সময় সারা দেশের ন্যায় ফরিদগঞ্জের মধ্য বাজারের সবুজ মার্কেটে আলী আহম্মেদ কন্ট্রাক্ট্রর সরকারি অনুমোদন নিয়ে মনিহার সিনেমা নামে এ হলটি নির্মাণ করেন।
ফরিদগঞ্জের আপামর জনসাধারণ বিনোদনের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হলে ছবি দেখতে আসতে শুরু করে। একসময় হলে নতুন ছবি আসা মানে মানুষের মিছিল লেগে যেতো। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত তিনিটি শো-দেখার জন্য দর্শক দল বেঁধে হলে আসতো। শো-ভাঙ্গার অপেক্ষায় থাকতো দোকানদারেরা। শো-ভাঙ্গলে বেচা কেনা ভালো হতো। এক সময়কার সবুজ মার্কেট পুরো উপজেলায় পরিচিতি পায় সিনেমা হল মার্কেট হিসেবে।
এই সিনেমা হলে প্রথম প্রদর্শিত ছবির নাম ছিলো ‘রক্তের বন্দী’ এবং গত মাসে সর্বশেষ প্রিয়া ‘আমার জান’ ছবিটি প্রর্দশন শেষে সিনেমা হলটি বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। মূলত হলে দর্শকের উপস্থিতি না থাকায় মালিকপক্ষ বাধ্য হয়ে সিনেমা হলটিবন্ধ ঘোষণা করে।
জানা যায়, আলী আহম্মদ কন্ট্রাক্ট্রর নিজেই হল পরিচালনা করতেন। তার মৃত্যুর পর তার ছেলেরা হলটি পরিচালনা করে আসছিলো। পরে পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ হওয়ার পর তার ছেলে তাফাজ্জল হোসেন তার বড় মেয়ের জামাই রসুল আমিন আরিফের কাছে হলের মালিকানা বিক্রি করে দেন। রসূল আমিন আরিফ হলটি ক্রয় করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে দেন। কিন্তু প্রতি বছর লোকসান হওয়ায় আর্থিক দিক বিবেচনা শেষে গত মাসে রসুল আমিন আরিফ হলটি মোঃ সেলিম খানের কাছে ২ কোটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
সরকারি ঘোষণামতে ৩ শতাধিক সিনেমা হলকে ডিজিটাল করা হবে। অথচ চাঁদপুর জেলার ছায়াবানী, চিত্রলেখা, কোহিনুর, রূপসা বাজারের রূপসি সিনেমা হল চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/এসএইচ/২০১৫
নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes