ফরিদগঞ্জে ফুটতে শুরু করেছে বর্ষার আগমনী কদম ফুল

কদম ফুলের আগমনেই বলে দিচ্ছে এখন বর্ষা কাল। যদিও বর্ষাকাল শুরু হতে এখনো কিছু দিন বাকি। কিন্তু তারই আগমনী বার্তা নিয়ে ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ফুটতে শুরু করেছে বর্ষার ফুল কদম। এ ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত।

প্রতিবছরই বর্ষার আগাম বার্তা নিয়ে বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের আগেই ফুটে কদম ফুল। আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম।

বর্ষার বিরামহীন বর্ষণের কথা মনে করে দিয়ে ফরিদগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। হলুদ সাদার সংমিশ্রণে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার আসার অনুভূতি।

আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে এক রকম বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অরূপ সৌন্দর্যে প্রতীক কদম গাছ।

গ্রামের শিশু-কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো। মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত। কিন্তু আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে। কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে। লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না।

কদম গাছের জায়গায় ইউক্লেপ্টাস,করাই,মেহগনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা। কিন্তু ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন জনপদে এখনো অসংখ্য কদম ফুল গাছ টিকে আছে।

বর্তমানে যান্ত্রিক সভ্যতা ও নগরায়নের যুগে কমতে শুরু করেছে কদম গাছ। আদিকাল থেকে কদম ফুল আমাদের প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে আসছে। কদম ফুল ছাড়া বর্ষা যেন একে বারে বেমানান। কিন্তু প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে। সে জন্য প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতিপ্রেমিরা।

প্রতিবেদকঃশিমুল হাছান,৫ জুন ২০২১

Share