চাঁদপুরের ফরিগঞ্জে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে করোনার বিশেষ খাদ্য কর্মসূচীর কার্ড নিয়ে আ.লীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
৬ মে বুধবার বিকেলে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের পক্ষ থেকে অসহায়দের জন্য বিশেষ খাদ্য কর্মসূচীর কার্ডের ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়সহ কয়েকটি দোকান ভাংচুর হয়। হামলায় বাজার ব্যবসায়ীসহ উভয় গ্রুপের ১০/১২ জন আহত হয়।
গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সচিব আ: মান্নান জানান, সরকারের বিশেষ খাদ্য কর্মসূচীর ইউনিয়নে বিশেষ ৭৪৬টি কার্ড বরাদ্দ হয়। গত মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত কার্ডের মধ্যে ৪০ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য রেখে বাকী ৬০ ভাগের মধ্যে এমপির প্রতিনিধির ৩০ ভাগ, উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির ২০ ভাগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ও ১০ ভাগ করে কার্ড বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১০ ভাগ কার্ড নিয়ে দুই ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বাবুল ও টেলু পাটওয়ারীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
স্থানীয়রা জানান, এদের মধ্যে টেলু পাটওয়ারী বর্তমান এমপি গ্রপের ও আলমগীর হোসেন বাবুল উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের অনুসারী। এক পর্যায়ে এরই জের ধরে বুধবার দুপুরে দুই গ্রুপ প্রস্তুতি নিয়ে গোয়ালভাওর বাজারস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা শুরুহয়। দফায় দফায় শুরু হওয়া হামলায় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোয়ালভাওর বাজারকে রণক্ষেত্রে পরিণত করে। এতে উভয় পক্ষের রাসেল, মজিব, তারেক , রুবেল, সোহাগ সহ অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
হামলার সময় হঠাৎ করেই বাজারের নাহিদ ডির্পাটমেন্টাল স্টোরসহ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। নাহিদ ডির্পাটমেন্টাল স্টোরের সোহেল, জানায়, বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে হঠাৎ করেই একটি পক্ষ তাদের দোকানে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় তার ভাই জুয়েল ও পাশর্^বত্তি মিজানকে বেদম মারধর করে। হামলাকারীরা তাদের ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানকে তছনচ করে ফেলে। একই সাথে তারা নাছির নামে আরেক ব্যবসায়ীর দোকানও ভাংচুর করে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী আলমগীর হোসেন বাবুল জানান, বুধবার দুপুরে তাকে এমপি গ্রুপের লোকজন বেদম মারধর করে। তার বাড়ি ঘরে হামলা করে।
আরেক ইউপি সদস্য টেলু পাটওয়ারী জানান, মঙ্গলবার তার উপর হামলার ঘটনায় বুধবার দুপুরে বিচার হওয়ার কথা। উভয় পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থান নেয়। এর পর মারামারি শুরু হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ: হান্নান জানান, কার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে শুনেছি আমি ঘটনাস্তলে ছিলামনা।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি আমাদের থানা ফোর্স পাঠিয়েছি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে করে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
প্রতিবেদক : শিমুল হাছান, ৭ মে ২০২০