চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় কামতা অফিস লোকালয়ে স্থানান্তরের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। বর্তমান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একটি ধালাল চক্র কাজ করে যাচ্ছে, যে কারণে সাধারণ গ্রাহকরা বিভিন্ন সেবা থেকে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে সাথে এ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এখানে কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। আর যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় দূর-দূরান্তের গ্রাহকরাও অফিসে আসতে গিয়ে নানা সমস্যায় বেগ পেতে হচ্ছে।
জানা যায়, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভাগ হওয়ার পূর্বে ফরিদগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমাতে কামতা বাজারের দক্ষিণ পাশে শফিক মিয়ার ব্রিক ফিল্ডের সামনে অফিস নেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে কামতা গ্রামের আমির হোসেন খোকা, বাচ্চু মিয়া, ফনিসাইর গ্রামের আমির হোসেন সর্দার, লক্ষীপুর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য আ. মমিন দুলাল অফিস স্থানান্তরের যৌক্তিকতা দেখিয়ে বলেন, অফিসটি বাজার থেকে একটু দূরুত্বে ও জনসম্মুখের বাহিরে হওয়ায় বর্তমানে দালাল চক্র সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এদিকে এলকাবাসীর অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের একক ক্ষমতাবলে অফিসের সকল কার্যক্রম তিনি দ্বীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্রকে দিয়ে চালিয়ে আসছেন।
অফিসের নিজস্ব জায়গার জন্য তিনি প্রতি শতাংশ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে তা অফিস থেকে পরবর্তী এক লাখ বিশ হাজার টাকা শতাংশ মূলে বিক্রি করেছেন।
অতিরিক্ত হারে লোডশেডিং যন্ত্রণার প্রতিবাদে বুধবার এলাকাবাসীর বিক্ষোভে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এছাড়া বর্তমান অফিসটিতে যাতায়াত ব্যবস্থা এত করুণ যে সাধারণ গ্রাহকরা অফিসের সামনে ধুলা-বালির কারণে চলাফেরা করতে পারছে না, সে সাথে কর্মকর্তারাও ঠিকমত অফিস করতে পারছে না।
তাই তাদের দাবি মাত্র দেড়শ গজ দূরুত্বে কামতা বাজারের পূর্ব পাশে আল নূর গ্রুপ অব সুপার মার্কেটে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসটি স্থানান্তর করলে গ্রাহকদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
এ বিষয়ে আল-নূর গ্রুপ অব সুপার মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধা ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে অফিস স্থানান্তর করলে আমার কোন আপত্তি নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামতা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে তারা বলেন, বর্তমান অফিসটিতে মালামাল রাখার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সময়ে এখান থেকে পল্লী বিদ্যুতের তার, মিটারসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়।
বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পল্লী বিদ্যুতের মালামাল আনা-নেওয়া ও এখানে রাখার কোন ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া অফিসটির সামনে জখন বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ এর দাবি নিয়ে জনতার বিক্ষোভ তৈরি হয় তখন আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে অফিসে থাকতে হয়।
জহিরুল ইসলাম জয়, করেসপন্ডেন্ট [/author]
: আপডেট ৮:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ