Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন : নেই টেকনিশিয়ান
মতলবে টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন : নেই টেকনিশিয়ান

মতলবে টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন : নেই টেকনিশিয়ান

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন রেখে চলছে কার্যক্রম। নেই রেডিওগ্রাফার ও রক্ত প্রশ্রাব-পায়খানা পরীক্ষার ল্যাব টেকনিশিয়ান । এভাবেই চলছে মতলব দক্ষিণ নায়েরগাঁও বাজারের মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। বিনিময়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

কোনো এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ, নির্দেশনা বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই তাদের খামখেয়ালি মত বিভিন্ন রোগের নাম করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শালা-দুলাভাই মিলেই ডায়াগণস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ওই সেন্টারটিতে গিয়ে দেখা যায়, নায়েরগাঁও দক্ষিণ বাজার জামে মসজিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক মাধব চন্দ্র হালদার ও শ্যালক পলাশ চন্দ্র হালদার মিলে এটি পরিচালনা করছে।

ডায়াগণস্টিক সেন্টারটির ২য় তলায় টিনসেডে ৩টি ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে। যার একটিতে নামকয়াস্তে প্রশ্রাব-পায়খানা ও রক্ত পরীক্ষা করার ল্যাব।

পাটন গ্রামের ইয়াছমিন সুলতানা মুক্তা (১৮) নামক এক কিশোরী। এক্স-রে মেশিন রাখা কক্ষটির ওপরে টিনের চাল ও সামনে কাঠের দরজা ও দু’টি জানালা। অভ্যর্থনা কক্ষে বসে মালিকের শ্যালক পলাশ চন্দ্র হালদার রোগীদের কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করে টাকা নেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিতে এক্স-রে করতে আসা আলিয়ারা গ্রামের নূরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম (৪৫) জানান, নায়েরগাঁও বাজারের মুক্তি মেডিকেল সেন্টারের মালিক ডা. গৌরাঙ্গ চন্দ্র বিশ্বাসের পরামর্শে আমি এখানে এসেছি আমার বুকের এক্স-রে করতে এসেছি।

আমার কাছ থেকে একটি এক্স-রে করতে ৬ শ’ টাকা নেয় তারা।

অপরদিকে কাউয়াদি গ্রামের দুলাল সরকারের স্ত্রী নাজমা জানান, আমার মেয়ের জ্বর জনিত কারণে ওই গৌরাঙ্গ ডাক্তারের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করতে এসেছি। রক্ত পরীক্ষাবাবদ ৪ শ’ ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।

নায়েরগাঁও বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি টিকিয়ে রেখেছে এক শ্রেণির হাঁতুড়ে ডাক্তারা। নায়েরগাঁও বাজারে মেঘনা ডায়গনস্টিক সেন্টার ব্যতীত অন্য কোনো ডায়গনস্টিক সেন্টার না থাকায় বাধ্য হয়েই স্থানীয় এবং আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন শ’ শ’ রোগী হাঁতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শে এ সেন্টারটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য আসে। বিনিময়ে কিছু হাঁতুড়ে ডাক্তাররা এ ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে মোটা অংকের কমিশন নেন।।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৩০ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

মতলবে টিনের ঘরে এক্স-রে মেশিন : নেই টেকনিশিয়ান

About The Author

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক, মতলব দক্ষিণ

Leave a Reply