Home / সারাদেশ / প্রেমের বাহানায় রাতভর দু’বোনকে গণধর্ষণ!
ধর্ষিতাদের বিধবা মা জানান, রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। লম্পট খোকন ও সিরাজসহ কয়েকজন মিলে তার দুই মেয়েকে বাড়ি থেকে
প্রতীকী ছবি

প্রেমের বাহানায় রাতভর দু’বোনকে গণধর্ষণ!

বিচারের নামে সময়ক্ষেপণ : দুই বোনকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ!

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কিশোরী দুই বোনকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই দুই কিশোরী বোন বাদী হয়ে কমলনগর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজার এলাকায় তাদের ডেকে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষণ করা হয়। মামলায় একই এলাকার মৃত ইস্রাফিলের ছেলে মো. খোকন, মৃত সোলেমানের ছেলে মো. সিরাজ, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. ইউছুফ ও মৃত হোসেন আহাম্মদের ছেলে মো. আবদুল করিমসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার বড় বোন জানান, একই এলাকার মো. খোকন তাকে পছন্দ করতো। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে খোকন তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘর থেকে তাকে বের হতে বলে। একা ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না বললে খোকন তাকে ছোট বোনকে সঙ্গে আনতে বলে। তারা দুই বোন ঘর থেকে উঠানে এলে চার থেকে পাঁচজন মিলে তাদের মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে রাতভর তাদের ধর্ষণ করা হয়।

অপর ধর্ষিতা সাংবাদিকদের বলেন, “খোকনের চাচাতো ভাই সিরাজ আমার গলায় ধারালো ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক খোকন ও সিরাজের বন্ধু ইউছুফ এবং আবদুল করিমও আমাদের নির্যাতন করেছে।”

ধর্ষিতাদের বিধবা মা জানান, রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। লম্পট খোকন ও সিরাজসহ কয়েকজন মিলে তার দুই মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি কলাবাগান থেকে তিনি তাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে বিষয়টি তিনি স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝিকে জানালে তিনি মীমাংসা করবেন বলে আশ্বাস দেন। বিচার না পেয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই দুই বোনকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষিতাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

||আপডেট: ০৮:১৩  অপরাহ্ন, ০১ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার

চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর

Leave a Reply