Home / সারাদেশ / প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে ‘সরি’ লিখে ফেস্টুন টানাল প্রেমিক
প্রেমিকার

প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে ‘সরি’ লিখে ফেস্টুন টানাল প্রেমিক

প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে কলেজের সামনে ‘সরি’ লিখে ফেস্টুন টানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এক প্রেমিক। জামালপুরের মেলান্দহ জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের সামনে ফেস্টুন ও রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের প্রতীকী চিত্র অঙ্কন করে প্রেমিকাকে তাঁর জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক প্রেমিক মেলান্দহের জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ ও তার পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজে গেটের সামনে তিনটি ফেস্টুন টাঙিয়েছেন।

প্রেমিকার

বুধবার বিকেলে জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের সাইনবোর্ডের ওপরে গাছের সঙ্গে টানানো হয়েছে ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে ‘SORRY SORRY’ পাশেই বিস্ময় চিহ্ন দিয়েও লেখা হয়েছে ‘Sorry!’। এ কলেজের পাশেই মেলান্দহ কারিগরি মহিলা কলেজের সাইনবোর্ডের পাশে বড় একটি গাছেও টাঙানো হয়েছে দুইটি ফেস্টুন। এতে লেখা হয়েছে ‘Please Come Back to my life’ ও ‘I Love You’। অপরটিতে লেখা হয়েছে ‘I Miss You Everyday’ ও ‘I miss you Every Time’। এমন ব্যতিক্রমী কাণ্ডে অবাক সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রেমিকার রাগ অভিমান ভাঙাতেই প্রেমিক এমন ব্যতিক্রমী উপায়ে দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর জীবনে প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখিনি আমরা। প্রেমিকা হয়তো আমাদের কলেজেই পড়ে সে জন্যই এ কলেজ গেটের সামনে ফেস্টুন টানিয়ে দিয়েছে প্রেমিক। যাতে প্রেমিকার নজরে পড়ে অভিমান ভাঙে।’

ফাতেমা জান্নাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ সকালে কলেজে আসতেই দেখি রাস্তায় বড় করে লেখা সরি। এর পাশে গেটের সামনে সাইনবোর্ডের ওপরে ফেস্টুনে লেখা ‘সরি! সরি!’

কলেজের পাশে আছাদ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গতরাতে দোকান থেকে রাস্তা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় দেখি দুই ছেলে গাছের ওপরে কি যেন লাগাচ্ছে। আমাকে দেখে নিচে নেমে পড়ে। পরে আজ সকালে আসার সময় দেখি এই কাণ্ড।’

এ বিষয়ে জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজে ঢোকার সময় ভালো করে লক্ষ্য করিনি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ফেস্টুনের লেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে হয়তো দুজনের মাঝে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না, রাগ অভিমান ভাঙাতেই এমনটা করেছে। রাতের আঁধারে কলেজগেটের সামনে এ ফেস্টুনগুলো লাগানো হয়েছে। কলেজগেটের সামনে যত ফেস্টুন আছে সব খুলে ফেলা হবে।’

 

টাইমস ডেস্ক/ এএস/ ১৫ মার্চ ২০২৩