চাঁদপুরের কচুয়ায় তিন হিমাগারে অন্তত দেড় লাখ বস্তা আলু পড়ে রয়েছে। যার পরিমাণ ১১ হাজার ২শ’ টন। গত মৌসুমে অতি বৃষ্টিতে কচুয়ার কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত আলুর ফলন নষ্ট হওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চলতি সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় হিমাগারে আলু সংরক্ষণে রাখে।
কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন আবারো ধুলিসাৎ হতে চলেছে বর্তমানে আলুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায়। গত ১৫/২০ দিন ধরে কচুয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণকৃত আলু পরে রয়েছে কচুয়ার তিনটি হিমাগারে।
জানাগেছে, এ বছর মৌসুমী ব্যবসায়ী ও কৃষকরা কচুয়া উপজেলার গুলবাহার হিমাগার-১, গুলবাহার হিমাগার-২ ও বাতাপুকুরিয়া মনার্ক কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড এ চলতি বছর প্রায় ২ লক্ষ বস্তা আলু মজুদ রাখে।
বর্তমানে কচুয়া বিশ্বরোড সংলগ্ন গুলবাহার ২টি হিমাগারে- প্রায় ৫৫ হাজার বস্তা ও বাতাপুকুরিয়া মনার্ক কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে ৮২ হাজার বস্তা আলু এ পর্যন্ত বিক্রি না হওয়ায় এসব হিমাগারে পরে রয়েছে।
তবে গত মৌসুমে ব্যবসায়ীগণ প্রতি বস্তা আলু ৯’শ থেকে ১ হাজার টাকায় ক্রয় করে। বর্তমানে প্রতি বস্তা আলু ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা হওয়ায় বিষণ দুঃচিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।
হিমাগারে আলু রাখা কিছু ব্যবসায়ীর মধ্যে দেবীপুর গ্রামের অধিবাসী আক্তার হোসেন জানান, গত মৌসুমে আমি প্রতি গাড়ি আলু ১ লক্ষ টাকা করে ক্রয় করে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছি। বর্তমানে ন্যায্য বাজার দর না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতি গাড়ী আলু মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এমনিভাবে আরো কয়েকজন আলু ব্যবসায়ী, কোয়া-চাঁদপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, বড় হায়াতপুর গ্রামের গৌরাঙ্গ, মতলবের শিপন মিয়া, দেবীপুর গ্রামের আমির হোসেন, উজানী গ্রামের জামাল হোসেন, পালাখাল গ্রামের শহীদ উল্যাহ, উত্তর শিবপুর গ্রামের আলমগীল হোসেন ও চানপাড়া গ্রামের আজগর আলী জানান, হিমাগার থেকে লোন বাবদ টাকা নিয়ে আলু ক্রয় করে মজুদ করা হয়। বর্তমানে ন্যায্য বাজার মূল্য কম হওয়ায় লাখ-লাখ টাকা লোকসানের দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, ধার দেনা ও হিমাগার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আলুর লোন নিয়ে গত মৌসুমে আলু ক্রয় করেছে। সরকার আলুর দাম বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ী ও কৃষকদের।
জিসান আহমেদ নান্নু
: পডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৪৩ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৭ সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur