প্রযুক্তির মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধ করতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিদ্যমান পদ্ধতি বাতিল করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নফাঁসের ঝুকি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বুধবার শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এমন কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রশ্নফাঁস ছাড়াই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ছাড়াই চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে এসব পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট সকলে তিনি ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছি, আসলে তা পর্যাপ্ত নয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সকল পদক্ষেপ নিতে হবে। এ কারণে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নফাঁস রোধ করার কথা ভাবছি। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ছাপা ও বিতরণ করা সম্ভব হলে আর ফাঁসের ঝুকি থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা হঠাৎ করেই কোনো কিছু করব না। এটি বাস্তবায়ন করার আগে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাব। সকলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন পদ্ধতি শুরু করা হবে।
শিক্ষানীতি আংশিক বাস্তবায়ন হয়নি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, সকল কিছুর আগে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রয়োজন। এটি আমাদের এখনও চূড়ান্ত হয়নি। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য একটি শিক্ষা কমিশন প্রয়োজন। শিক্ষা আইন পাস হলেই সকল কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, শিক্ষানীতির সঙ্গে সংগতি রেখেই শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ জন্য একজন আইন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দ্রুতই শিক্ষা আইন পুনরায় মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে।
পাবলিক পরীক্ষার আগে ঢালাওভাবে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়- এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিং সেন্টার কোনো খারাপ প্রতিষ্ঠান নয়। বিভিন্ন ভাষাশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ নানান ধরনের কোচিং সেন্টার রয়েছে। মানুষ সেখান থেকে সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা কোচিং সেন্টারকে খারাপ বলতে পারি না। অনেকে কোচিং বাণিজ্য বলেও ধিক্কার দেয়, বাণিজ্য তো খারাপ জিনিস নয়। যেকোনো প্রতিষ্ঠান আইন অমান্য করে কোনো কাজ করলে বা প্রশ্নফাঁসের মতো খারাপ কাজ করলে তাকে ধিক্কার করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, দেশের সকল কোচিং সেন্টারকে আলাদা করা হবে। বিষয় অনুযায়ী আলাদাকরণ করা হবে। এটি হলে পাবলিক পরীক্ষার আগে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতিমূলক কোচিংগুলোকে বন্ধ রাখা হবে। ঢালাওভাবে আর কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে না।
বার্তা কক্ষ
১১ এপ্রিল,২০১৯