মতলব উত্তরে প্রথম ডোজের আওতায় ২৯ হাজার ৪২০ শিক্ষার্থী

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ২৯ হাজার ৪শ’২০ জন শিক্ষার্থীকে করোনা ভ্যাকসিন ফাইজার টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

ফাইজার টিকার প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদেও টিকাদান কেম্পেইনের আওতায় বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি উপজেলার ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাদ পড়া ৯০০ জন শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত একটানা চলে এ টিকাদান কেম্পেইন। এ নিয়ে গত বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার এই দু’দিনে মোট ৩ হাজার ৪শ’২০ জন বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

যার মধ্যে গত বুধবার দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫শ’২০ জন। আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া হয়েছে ৯০০ জন শিক্ষার্থীকে।
এ পর্যন্ত প্রথম রাউন্ড ও বাদপড়া কেম্পেইনের ২ দিনসহ উপজেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী মোট ২৯ হাজার ৪শ’২০ জন শিক্ষার্থীকে মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজার ভ্যাকসিন করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়।

উল্লেখ্য, মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন করোনা টিকার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কার্যক্রম চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আর এ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছেন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীরা তারা মাঠ পর্যায়ের নিয়মিত ইপিআই শিশুদের টিকাদান কাজ ঠিক রেখে তারা শিক্ষার্থীদের এ ফাইজার টিকাদানে কাজে অসামান্য অবদার রেখেছেন।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডেকরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্যাম্পেনের আওতায় মোট ২৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছিলো। আর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৪শ’২০ জন বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন করোনা টিকার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আমাদের মতলব উত্তর উপজেলা মোট ২৯ হাজার ৪শ’২০ জন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। করোনা সংক্রম যেভাবে বাড়ছে তাতে টিকা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নাই। করোনা টিকা নিলেও আমাদের সবাইকে মাক্স ব্যবহার করতে হবে। করোনা টিকা নিলেও সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Share