ভারতের উত্তর প্রদেশের বাগপথ গ্রামে প্রকাশ্যেই চলে নারী কেনাবেচা। আর এই দাবী বাইরের কারো নয় বরং স্থানীয়দের।
সম্প্রতি এই গ্রামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনা তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, স্ত্রীর অপহরণের পর আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে।
জানা গেছে, ওই যুবকের আত্মহত্যার নেপথ্য কারণ নারী কেনাবেচা ও পাচার। ওই যুবকের নাম মুকেশ। কয়েকদিন আগে এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন সরুরপুর গ্রামের এই মুকেশ। কিন্তু তার পরিবার জানিয়েছে, ওই তরুণীকে বিয়ে করেননি তিনি। বরং নিলামে তাকে কিনেছিলেন। ২২ হাজার টাকা দর হাঁকিয়েছিলেন মুকেশ। ১৫ হাজার ৫০০ টাকা তখনই মেটান। বাকি টাকা পরে মেটাবেন বলে মনু নামে এক এজেন্টকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুকেশ। ৪ দিন পরে মুকেশের বাড়ি আসেন মনু। টাকা শোধ না করায় মুকেশের নববধূকে তিনি তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, গ্রামের ইটভাটায় নারীদের কেনাবেচা চলে। ওই দিন আরও ৩ নারীকে নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল। মনু নারী পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।
এদিকে, মনুর খোঁজে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: জি-নিউজ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur