চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুকুরে মাছ ধরায় বাঁধা দেওয়ায় মালিকের উপর হামলা ও লুটের অভিযোগ পাওয়া যায়। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হাজীগঞ্জ থানার লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী জানা যায়, মকিমাবাদ হাজী বাড়ীর মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মনু মিয়ার (৪৫) পুকুরে একই বাড়ীর মুসা মিয়ার নাতি সাকিব বরশি দিয়ে মাছ ধরতেছে। মাছ ধরার খবর পেয়ে পুকুরের মালিক মনু মিয়া গিয়ে হাতেনাতে ধরে ও বরশি নিয়ে যায়। পরে একই বাড়ীর মুসা মিয়ার ছেলে সবুজ, মোহন, জিতুর ছেলে সোহাগ, সবুজের স্ত্রী ফাতেমাসহ ৭/৮ জন মিলে পুকুরের মালিক মুসা মিয়াকে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে স্ত্রী হাসিনা বেগমও যখম প্রাপ্ত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের মাটি থেকে ভেজা কাপড়চোপড় অবস্থায় হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত স্বামীকে হাসপাতালে রেখে বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে একই বাড়ীর মুসা মিয়ার ছেলে সবুজ, মোহন, জিতুর ছেলে সোহাগ, সবুজের স্ত্রী ফাতেমাসহ এদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করে মনু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, আমাদের পুকুর থেকে তারা বকশি দিয়ে মাছ ধরে নেয়। এতে বাঁধা দেওয়ায় আমার স্বামীকে মেরে তার লুঙ্গীতে পেছানো নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং আমাকেও মেরে গলার সেইন নিয়ে যায়। আমার স্বামী হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা প্রশাসনের নিকট এ নেক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই।
পুকুরের মালিক মনু মিয়া বলেন, আমার পুকুরের মাছ তারা প্রতিনিহিত খেয়ে আসছে। হাতেনাতে ধরার পর বরশি ভেঙ্গে পেলি। পরে বাড়ীর থেকে চলাচলের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার উপর হামলা চালিয়ে নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
প্রতিপক্ষ সবুজ বলেন, মনু মিয়া আমার ভাগিনাকে মারধর করেছে। আমাদের কয়েকজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরাও স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানায় অভিযোগ করেছি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৩ জুলাই ২০২৩