পায়ে রিং তারপরও কাজে ফিরতে চান অটো চালক জাহাঙ্গীর

জীবনের শুরুতে পেশা হিসাবে বেচে নেন রিক্সা চালক জাহাঙ্গীর । সংসার জীবনে স্ত্রী ও ৬ সন্তানের ঘ্রাণি টানতে গিয়ে পার করে ফেলেছেন ৫৫ টি বছর।  তার মাঝে উন্নতি হয়েছে শুধু পায়ে চাপ দেওয়া রিক্সা থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।

প্রায় ৮ মাস পূর্বে তার অটোরিক্সার সামনে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়। ৭ মাস ধরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে হিমসিমে পড়েন। তাইতো এই পঙ্গুত্ব জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টায় ফিরতে চান অটোরিক্সার কাজে। 

এমনি এক সংগ্রামী মানুষের দেখা পাওয়া যায়, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা গ্রামে। শেখ বাড়ির মৃত আ. হালিমের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ প্রায় ৪০ বছর ধরে হকারি, রিক্সা বর্তমানে অটোরিক্সার চালক হিসাবে পরিচিত।  হঠাৎকরে এক দূর্ঘটনা পঙ্গু হয়ে পড়ে আছেন এলাকায়। পরিচিত কিছু মানুষ সামান্য সহযোগিতা করলেও তা পরিবারের ৭ সদস্যের চাহিদা পূরন করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। নিজের দূর্ঘটনার কবলে পড়া অটোরিক্সাটি ভাড়া দিতে চাইলেও পাচ্ছে না কোন চালক। তাই নিজেই কর্মে ফিরার চেষ্টায় পঙ্গু পা নিয়ে দাড়িয়ে থাকে নিজের ভাঙ্গা অটোরিক্সার সামনে। 

পঙ্গু জাহাঙ্গীর শেখ বলেন, আমার কর্মজীবনে গত প্রায় ৮টি মাস বেকারত্ব জীবন পার করছি।  পায়ে রিং পড়া, ডাক্তার কবে নাগাদ রিং খুলবে তাও জানা নাই। সঠিক চিকিৎসা করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। এদিকে বড় ছেলে আমাদের ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে। পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে বড়ই বিপাকে আছি। আমি কর্মে ফিরতে চাই। চিকিৎসার খরচ পেতে আমি সহযোগিতা চাই। 

স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও এলাকার বেলায়েত ও শাহাজান বলেন, জাহাঙ্গীর একজন কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত কারনে এখন পঙ্গু পা নিয়ে বসে থাকতে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। 

স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম আটিয়া বলেন, আমি নতুন মেম্বার হয়েছি, তার পরেও আমাদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের কাছে তার পঙ্গুত্ব অসহায় জীবনে আর্থিক সহযোগিতার ব্যাপারে কথা বলবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৩০ মার্চ ২০২২

Share