পানি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়বে : বন মন্ত্রী

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন,‘ পানি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার (১০ মে) খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণে মাত্র ৭ শতাংশ। আর এ ৭ শতাংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় সমগ্র প্রবাহ। পলিসহ এ ৯৩ শতাংশের প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ওপর। তাই অভিযোজনসহ এ দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন।’

সভাপতিত্বের বক্তব্যে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড.কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন,‘ সম্প্রতি নদী ভাঙন ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এসব প্রভাব মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত কার্যক্রম।’

‘জলবায়ু পরিবর্তন : বন ও পানি সম্পদের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বিষয়ভিত্তিক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভ্যান্সড স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ড.আতিক রহমান, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ এবং বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাসফিকুস সালেহীন।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ ১৯৩০ সাল থেকে এ পর্যন্ত শতকরা ৩৯ ভাগ বন ধ্বংস হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০০০ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি বন ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃক্ষরোপনসহ গণ সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে বনের বাইরে গাছপালার সংখ্যা বেড়েছে। সারাদেশে ৮ হাজারের বেশি ইট ভাটা রয়েছে যেখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ।’

ড.আতিক বলেন, ‘ ২১ শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীতে ৩০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরিত হবে ‘

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএএস, আইসিসিসিএডি এবং পিকেএসএফ কর্তৃক আয়োজিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড.এম এহ্ছানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী এসডিজির ওপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ৫ম সেমিনারের বিষয় ছিল ‘জলবায়ু পরিবর্তন : বন ও পানি সম্পদের প্রভাব’। (ইত্তেফাক)

বার্তা কক্ষ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ৩০ পিএম,১১ মে ২০১৮,শুক্রবার
এজি

Share