Home / সারাদেশ / পাট খাত রক্ষায় তহবিল গঠনের দাবি
jute ..

পাট খাত রক্ষায় তহবিল গঠনের দাবি

পাটখাত রক্ষায় ইডিএফ এর মতো ২ % সুদে ঋণ পেতে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার ২৮ জুন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন জুট অ্যান্ড জুট প্রোডাক্টস-এর প্রথম সভায় এ দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন,‘স্বল্পসুদে তহবিল থেকে ঋণ পেলে, দেশের পাট খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’

বৈঠকে কাঁচাপাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাজেটে আরোপিত ২ শতাংশ উৎসে কর ও রফতানির বিপরীতে প্রণোদনায় ১০ % হারে উৎস কর প্রত্যাহার,পাটপণ্যে ভারতের এন্টি-ডাম্পিং ডিউটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া, বেসরকারি পাটকলের ব্যাংক ঋণ মওকুফ ও উচ্চ ফলনশীল পাটবীজ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু শতভাগ রফতানিমুখী পাটপণ্যে কর না চাপানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘পাট ও পাটজাত পণ্যের দুরাবস্থায় তৃণমূলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান আজ হুমকির মুখে। এ খাতকে বাঁচাতে সরকার থেকে পর্যাপ্ত নীতিসহায়তা দরকার। এজন্য পাট ও পাটজাত পণ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।’

সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেন,‘এখন সময় এসেছে পাট খাতের জাগরণের। বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে নীতিসহায়তা পেতে এফবিসিসিআইর সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।’

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘পাট একইসঙ্গে শিল্প ও কৃষিপণ্য হওয়ায় ২০০ ভাগ মূল্য সংযোজন হয় এ খাতে। শতভাগ রফতানি পণ্য হওয়ার পরেও অগ্রিম আয়কর দিতে হয় যা চলে যায় ক্রেতার ওপর। এসব কারণে পাটপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ খাতের খরচ কমাতে লো কস্ট ফান্ডিং এর আহ্বান জানান তিনি।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে জুটমিলস অসোসিয়েশনের সভাপতি ও কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘পাট পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক তন্তু হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদ, কাচাপাটের চড়া দাম এবং সে তুলনায় পণ্যের বিক্রয়মূল্য কম হওয়ায় মিল মালিকরা চলতি মূলধনের সংকটে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ এ খাতের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল,কমিটির কো-চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিন, রবিউল আহসান,শফিকুল ইসলাম, হাসেন আলি,এস.আহমেদ মজুমদার।

৩০ জুন ২০২২
এজি