চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি ও শাহতলী এলাকায় পাগলা মহিষের আক্রমণে বুধবার (০৩ মে) নারীসহ ৮জন গুরতর আহত হয়েছে।
পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
আহতরা হলেন, আশিকাটি ইউনিয়নের হাপানীয়া গ্রামের অটোচালক মিন্টু (৪০), হামানকর্দ্দির ইয়ার আলী (৫০), আদুর খাঁন এলাকার নয়ন (২৫), ভারতি (৫৫), ফখরুল ইসলাম (৩০), রাজন (২৫)সহ নাম না জানা আরো কয়েকজন রয়েছে।
আহতদের মধ্যে অটোচালক মিন্টু ও ভারতির অবস্থা আশংকজনক। এ ঘটনায় হামানকদ্দি এলাকায় ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
মানুষজন পাগলা মহিষের তাড়া থেকে রক্ষা পেতে দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পাগলা মহিষটি আটকের পর দেখার জন্য হামানকর্দ্দি এলাকায় শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৯টায় পাগলা মহিষটি হামানকর্দ্দি এলাকায় প্রবেশ করে। আশিকাটি ইউনিয়নে প্রবেশ করেই মহিষটির পাগলামির মাত্রা বেড়ে যায়। মহিষটি দেখে স্থানীয়রা মহিষটি আটকের জন্য কাছে গেলে সে মানুষকে ধাওয়া করতে থাকে। এরপর বিষয়টি ধীরে ধীরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হামানকর্দ্দির তপদার বাড়ির এলাকায় শতশত লোক ছুটে আসে।
পাগলা মহিষের আক্রমনে কয়েকজন আহত হয়েছে, এ খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।
এদিকে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা মহিষটিকে বিভিন্ন কায়দায় আটকের জন্য দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করে অবশেষে দুপুর আড়াইটায় দিকে দুর্ধর্ষ পাগলা মহিষটিকে হামানকর্দ্দি ভূঁইয়া বাড়ী সংলগ্ন বিলে আটক করে মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে।
পাগাল মহিষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাঁদপুর পশু হাসপাতালের ব্যাটানি সার্জন মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী কর্মকর্তা ডা. সুবির দাস, মৈশাদী ইউনিয়ন সচিব আবু বকর সিদ্দিক তালুকদার মানিক, ইউপি সদস্য জাহেদা বেগম, প্রাণী সম্পদ এএনই টেকনিশিয়ান শরীফ খান, ব্যাটনিনেটর আব্দুল হাই ও আলমগীর হোসেন।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ৪৫ পিএম, ৩ মে ২০১৭, বুধবার
এইউ