চাঁদপুরে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ট্রক্সফোর্সের অভিযানের পরেও পদ্মা-মেঘনা নদীতে দিনে দুপুরে জাটকা নিধন করছে জেলেরা।
জাটকা সংরক্ষণের সফলতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পহেলা বৈশাখের পান্তা-ইলিশকে কেন্দ্র করে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে ওঠায় ধরা পড়ছে জাটকা ইলিশ।
পদ্মা-মেঘনার তীরবর্তী হাট বাজারগুলোতে কিছুটা গোপনীয়তায় জাটকা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলেরা অভিযোগ করেছেন, হানারচর পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। অভিযানে যে জেলেদের আটক করা হয়, টাকার বিনিময়ে আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ল²ীপুর ইউনিয়ের জেলেরা।
এদিকে পদ্মা-মেঘনায় দু’মাস মাছ ধারা নিষিদ্ধ এমন কথা না মেনে অনেক জেলেরাই নদীতে নামছে। ফলে নদী জুড়ে জাটকা নিধন চলছে।
অন্যদিকে আগামী ১৪ এপ্রিল বাঙালীর পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশের চাহিদা বেশ চড়া থাকে। এ উপলক্ষে জেলেরাও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে অনায়সে নেমে পড়ে। বৈশাখ ছাড়া যে ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ১ হাজার টাকায়, সেই ইলিশ বৈশাখ উপলক্ষে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে জেলেরা। বেশি লোভের অপেক্ষায় অনেক অসাধু জেলে নদীমে নেমে মাছ শিকার করছে।
একাধিক সূত্র জানা যায়, দেশে মাছের চাহিদা পূরণে সরকার প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। কিন্তু হানারচর, ল²ীপুর মডেল ইউনিয়ন, পুরানবাজার রনাগোয়াল এলাকাসহ পদ্মা-মেঘনার বিভিন্ন স্থনে কোনো অভিযান না থাকায় এসব জায়গাজুড়ে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব। মাছ ধরা জালগুলোর ফাঁসগুলো ছোট হওয়ায় ৫ ইঞ্চি থেকে ১০ ইঞ্চির সকল জাটকাই ধরা পড়ছে।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম