জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের অধিনে বিদুৎ পাবে আরো ২৭ লাখ গ্রাহক

পল্লী বিদ্যুতায়নের (আরইবি) মাধ্যমে আরো ২৭ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে মোট খরচ হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২৭ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে মোট খরচ হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সরকারের। সে প্রতিশ্রুতি পূরণে একনেকে বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে ১৩ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহককে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ১০০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে সাত হাজার ১৩২ কোটি টাকা। অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দেওয়া হবে ১৩ লাখ ৫০ হাজার সংযোগ।

এ প্রকল্পের আওতায় ৩৮ হাজার ১০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ছয় হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দুই প্রকল্পের আওতায় ২৭ লাখ সংযোগ দেওয়া হবে। ২০২১ সালের আগেই প্রকল্প দুটির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে আরইবি।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, সভায় ৩০ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে থেকে চার হাজার ৪০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

গতকালের একনেক সভায় বহুল আলোচিত আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ভারতের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রস্তাবিত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে তিন হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। সড়কটি আশুগঞ্জ নদীবন্দরকে আখাউড়া স্থলবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, দেশের অভ্যন্তরে পণ্যসামগ্রী ও যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা সহজতর এবং উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধার্থে চার লেনের সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চার হাজার ৯৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্প, চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট, এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহসড়কে পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ২১১ কোটি টাকা ব্যয়ে জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ভারপাস নির্মাণ প্রকল্প, ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারগুলোর পুনর্বাসন প্রকল্প। (কালের কণ্ঠ)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ০০ পিএম, ২০ জুন ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share