২০১৩ সালের ২১ মে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে রসুলপুর গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায়, আসামী মোঃ জিয়া (৩২), কামাল মিয়াজী (৩৬), মোঃ আবুল বাশার (৪৮) ও মাহমুদা আক্তার (৪৭) আসামিদেরকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায়, আসামী মোঃ জিয়া (৩২), কামাল মিয়াজী (৩৬), মোঃ আবুল বাশার (৪৮) আসামিদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ০৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উক্ত রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে আসামী মাহমুদা আক্তার পলাতক ছিল। উক্ত ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ সহ চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মাহমুদা আক্তারকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে ডিএমপির ডেমরা থানা এলাকা হতে উক্ত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামী মাহমুদা আক্তার (৪৭), স্বামী-নজরুল ইসলাম, সাং- রসুলপুর, থানা- মতলব দক্ষিণ, জেলা-চাঁদপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মামলার বিবরণী ও ঘটনা অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামী মাহমুদা আক্তার ও কামাল মিয়াজী ভিকটিমকে হত্যার জন্য আবুল বাশার ও জিয়াকে ৫,০০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবুল বাশার ও জিয়া ২০১৩ সালের ২১ মে রাতে ভিকটিমকে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২