বাক স্বাধীনতার নামেও প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফি দেখা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
এই ধরনের কাজ কেউ করলে তাকে আইনের আওতায় আনতেও প্রতিবেশী দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ এসেছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
শুক্রবার আদালত শিশু পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাক স্বাধীনতার কথা বলে সব ওয়েবসাইট বন্ধের জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরলে ওই বক্তব্য আসে।
বিচারপতি দিপক মিশ্র ও বিচারপতি শিব কীর্তি সিংয়ের বেঞ্চ এক আদেশে শিশু পর্নোগ্রাফির সব ওয়েবসাইট বন্ধ করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়।
আদালতের ভাষায় এই ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে ‘বিকৃত উপায়ে অর্থ বানানো’ হচ্ছে। যেহেতু ভারতের আইন সমর্থন করে না, তাই এসব বন্ধ করতে হবে বলে আদালত জানায়।
. .
এই নির্দেশ পালনে কারিগরি কিংবা প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যার অজুহাত চলবে না বলেও আদালত জানিয়ে দেয়।
শুনানিতে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল পিংকি আনন্দ শিশু পর্নোগ্রাফির ওয়েসসাইট বন্ধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন, একান্তে দেখার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের কিছু ওয়েবসাইট থাকায় সবগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না।
তখন আদালত বলে, ব্যক্তিবিশেষের কাছে অশ্লীল হিসেবে ধরা দেওয়া কোনোটি কীভাবে শিল্পমানে উত্তীর্ণ, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।
শিশু পর্নোগ্রাফি বন্ধের আবেদনকারী আইনজীবী বিজয় পাঞ্জাবানি সাংবাদিকদের বলেন, “আদালত বলেছেন, প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফি দেখার ক্ষেত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারও যুক্তিগ্রাহ্য হবে না।”
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৩:৩০ অপরাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার
এমআরআর