রাজনীতি

‘পরিবহন ধর্মঘটের নেপথ্যে মদদ দিচ্ছে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী’

কারও নাম উল্লেখ না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সীমাহীন জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী পরিবহন ধর্মঘটের নেপথ্যে মদত দিচ্ছে একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নাম স্পষ্ট করে বলেছেন, এ ‍দুর্ভোগের জন্য দায়ী সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন ফখরুল ও গয়েশ্বর। ২০০৯ সালে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।

ফখরুল বলেন, আজ বাস চলছে না, পাবলিক বাস নেই। অসংখ্য মানুষ হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে। গতরাতে গাবতলীতে পুলিশ-শ্রমিক গুলির ঘটনা ঘটেছে। সকালে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজ চরম অস্থিতিশীল ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থে গোটা দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই ধর্মঘটে যিনি মদত দিচ্ছেন তিনি হলেন সরকারের একজন প্রভাশালী মন্ত্রী, তার সঙ্গে একজন প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। এদের ইন্ধনেই দেশে আজ এই ধরনের একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

সরকার সমস্যা সমাধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তারা (সরকার) পুরোপুরি অনৈতিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এলএমজিই আমদানি করে তাদের লোকরা বিক্রি করবে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করা হবে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে যে পরিবহন ধর্মঘট হচ্ছে এর নেপথ্যে সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। কিন্তু বিএনপি মিছিল করতে পারবে না, জনসভা করতে পারবে না, ঘরের মধ্যে মিটিং করতে পারবে না-এর নামই কি গণতন্ত্র?

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খোলা মাঠে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। বলতে গেলেই গুম হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একদিন সত্য চাপা থাকবে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আসল সত্য উদঘাটন হবে।

তিনি বলেন, যাদের বিচার হয়েছে, তাদের অনেকেই পিলখানায় ছিলেন না, কেউ সিলেটে, কেউ রাজশাহী, কেউ কুমিল্লায় ছিলেন। কিলিং মিশনে যারা অংশ নিয়েছিল, তাদের বিচার হয়নি। তারা পুনর্বাসিত হয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিন বেঁচে যাওয়া সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম। (বাংলানিউজ)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২: ০০ এএম, ০২ মার্চ ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Share