চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
শিল্পী আসিফ সকলের মাঝে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি যেমনি একজন শিল্পী তেমনি একজন প্রতিবাদী মানুষ। তবে হাসি-ঠাট্টাও কিন্তু কম জানেন না। তিনি মঙ্গলবার তার ফেসবুকে এমনি একটি স্টাটাস দিয়ে শবে বরাতকে উদ্দেশ্য ছোটবেলার কয়েকটি স্মৃতিকে তুলে ধরেছেন। যা চাঁদপুর টাইমস এর পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।
শব-ই-বরাত আসলেই পুরনো বন্ধ হয়ে যাওয়া ফাইলগুলো অটোম্যাটিক আবার ওপেন হয়ে যায়। দশ বছর বয়সে ঘরের বাইরে রাত্রি যাপনের মাজেজা টাই আলাদা ছিলো। মহল্লার ম্যাপ করা গাছগুলো থাকতো মূল টার্গেট। দুষ্ট ছেলেদের দল নিয়ে সন্ধ্যায় গোসল থেকে ফজর পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগীর একটা রমরমা আয়োজন থাকতো। কোন রকমে বারো রাকাত নামাজ পড়ে মুরুব্বীদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করতাম,উনারা যেনো ভাবেন আমরা আসলেই ভালো ছেলেপুলে।
রাত গভীর হওয়া মাত্রই ভাড়া করা রিক্সা নিয়ে বের হয়ে পড়তাম, মাঝে মাঝে নিজে কিংবা নিজেরাই চালাতাম। পটকা ফাটানো একটা ষ্ট্যান্ডর্ড ব্যাপার ছিলো। এডভোকেট করিম চাচার বিশাল বাড়ীর আশপাশের করমচা,কদবেল,নারিকেল, জাম এবং সুপারী,এডঃ লতিফ চাচার বাসার কামরাঙ্গা,নারিকেল, ডঃ আবু আয়ুব হামিদ ভাইয়ের বাসার শরিফা , এডঃ মজিবুর রহমান চাচার বাসার নারিকেল আর আতাফল , এডভোকেট সৈয়দ মোস্তফা চাচার বাসার পেয়ারা,বড়ই , নারিকেল,এডঃ হামজা চাচার বাসার নারিকেল আর ডালিম, এডভোকেট নেয়ামত উল্লাহ চাচার বাসার নারিকেল আর ওয়াপদা কলোনী,মীরু মুন্সী সাহেবের বাসা, ডে-লনী হাউস তো ছিলোই। ওগুলো ছিলো আমাদের নিজস্ব সম্পদ।
শব-ই-বরাত, শব-ই- কদর এবং শব-ই–মেরাজেই কাহিনীগুলো ঘটতো। তারপর ফজরের নামাজ পড়ে মিলাদের ডাবল প্যাকেট বিরানী নিয়ে বাসায় গিয়ে ঘুম। এই ফাঁকে ভাগাভাগি হয়ে যেতো। শুধু আমার বাসার আম,নারিকেল,সুপারী অক্ষত থাকতো।
আম্মা কোমা থেকে বেঁচে আসার পর করিম চাচী আর মোস্তফা চাচী কুমিল্লা বাসায় এলেন। বাসায় কেউ নেই। দুজনেই বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। আমাকেই রিসিভ করতে হল। হঠাৎ করেই করিম চাচী বললেন- আচ্ছা মিঠু তুই যে চুরিটুরি করছিলি, এগুলা পত্রিকায় দেয়ার দরকার কি ? আমি বললাম- চাচী পাপের প্রায়শ্চিত্য করি ।চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ডিএইচ/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।