পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ‘নাস্তিক’ পুত্রকে ত্যাজ্য করার ঘোষণা দিলেন এক পিতা। তার অভিযোগ তার পুত্র ফেসবুকের মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যক্ত। আর এই ঘটনাটি উঠে এসেছে নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব থাকেন তসলিমা। বিষয়টা তাসলিমার ক্লাসিফায়েড ফেসবুক পেজকে ঘিরেই। ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি সংবাদপত্রের ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের একটি ‘হলফনামা’র কাটিং পোস্ট করেছেন।
ওই হলফনামায় জনৈক পিতা তার পূত্র ফেসবুক আসক্ত হয়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। এজন্য তিনি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার পুত্রকে ত্যাজ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো তসলিমা নাসরিন ওই ত্যাজ্য পুত্রকে দত্তক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে তাসলিমার ভক্ত এবং নিন্দুকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।
তসলিমা নাসরিনে দেয়া পোস্ট অনুযায়ী, ওই হলফনামাটি মো. ফজলুর রহমান নামের একজন সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন। তাতে তারিখ দেয়া হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। হলফনামাটির লেখা এমন-
‘আমার ঔরষজাত সন্তান মো: তানবির ইলিয়াস মাহমুদ প্রায় কয়েক বৎসর যাবৎ ইংল্যান্ডে বসবাস করিয়া আসিতেছে। সে সেখানে থাকিয়া আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন Status লেখালেখি করিয়া আসিতেছে। ইসলাম বিরোধী লেখালেখি হতে বিরত থাকার জন্য অনেক নিষেধ করিয়াও তাহাকে এই পথ হইতে ফিরাইয়া আনিতে পারিতেছি না এবং সে আমার কথায় কোন কর্ণপাত করিতেছে না, এমতাবস্থায় ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য আমি তাহার সহিত পিতাপূত্রের সম্পর্ক ছিন্ন করিলাম। যাহার ক্রমিক নং ০২/২০১৫ তাং ১৭-৯-২০১৫’
তসলিমা নাসরিন এই হলফনামাটি পোস্ট করার আগে দু’ লাইন লিখেও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, কোনও এক মোঃ ফজলুর রহমান তার নাস্তিক পুত্রকে ত্যাজ্য করেছেন। পুত্রটি কে জানতে চাইছি। তার ভরন পোষনের দরকার হলে সাহায্য করবো। প্রয়োজনে দত্তক নিতে পারি।’
তাসলিমার এই পোস্টটি রীতিমতো ফেসবুকে ঝড় তুলেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) তসলিমার এই পোস্টটিতে ১ হাজার ২০০টি লাইক পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৭২টি। পোস্টটিতে কমেন্ট করেছেন ৭২ জন। এসব কমেন্টের বেশির ভাগই তসলিমাকে কটাক্ষ করে।
উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই।
|| আপডেট: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সোমবার,চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫