বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, দেশী এবং বিদেশী গভীর ষড়যন্ত্রে মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপি ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলো। সর্বশেষ ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। সেই সন্ত্রাসী হামলায় আইভি আপা ২২ নেতানেত্রী শহীদ হন। তাদের উদ্ধেশ্য হলো যদি শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যায়, তাহলে বাংলাদেশকে পাকিস্থান বানানো তাদের পথ সুগম হয়ে যাবে। এই দেশে গনতন্ত্র থাকবেনা, এদেশের মানুষের মানসম্মান থাকবেনা। পাকিস্থানিদের হাতে যেভাবে আমরা অত্যাচারিত হয়েছিলাম, ঠিক সেইভাবেই বাংলাদেশকে তারা জনগনের উপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে তাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে। আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
আজ সোমবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১২নং ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতা কর্তৃক প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মায়া চৌধুরী আরো বলেন, ওই একই কায়দায় ১৭ই জুন উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভায় বাহাদুরগ্রামবাসী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগদানকালে রাজাকার পুত্র কাজী মিজান,ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিছিলকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে এক যুবলীগ নেতা বাবু মৃত্যু হয় এবং কয়েজন মারাত্মক আহত হন। আমি এ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাই। মামলার প্রধান আসামী কাজী মিজানসহ ৭জনকে গ্রেফতার করায় প্রশাসনকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যতদিন না পর্যন্ত এ হত্যাকারীদের ফাঁসি রায় না হবে ততোদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। সারা দেশে ষড়যন্ত্র চলছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। বিএনপি জামায়াত তারা আজ বাংলাদেশকে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা জানে যে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তারা সন্ত্রাস,অিিগ্নকান্ডের মধ্য দিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগুন সন্ত্রাস আবার শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করতে তিনি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
মায়া চৌধুরী আরও বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখনো হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। দেশের মানুষ বিএনপি নেতার এক বক্তব্যেই সেটি বুঝতে পেরেছে। তাই দেশের মানুষ এখন আর বিএনপিকে বিশ্বাস করে না এবং বিএনপির নাম শুনতেই চাচ্ছে না। বিএনপির নেতারা এখন গুজব ছড়াচ্ছে। সেই গুজব কোনো কাজে আসবে না। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাই আমরা পরিস্কার বলতে চাই, যারা নির্বাচন বানচাল করতে আসবেন, তাদেরকে আমরা রাজপথে প্রতিহত করবো। আমরা জসনগণকে সাথে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা প্রতীকে ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করে আবারো প্রধানমন্ত্রী করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন,দেশের সবচেয়ে বড় শক্তিশারী সংগঠন হচ্ছে আওয়ামীলীগের সংগঠন। সবচেয়ে বড় ভোট ব্যাংক হচ্ছে নৌকার ভোট ব্যাংক। তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ম্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন এই মতলবের উন্নয়ন হয়েছে। এই সাড়ে চার বছর মতলবে কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা,নির্যাতন,মিথ্যা মামলা। যার প্রমাণ গত শনিবার মোহনপুরে আওয়ামীলীগের প্রতিবাত সমাবেশে যোগদানকালে জামায়াত বিএনপির প্রেতাত্মা কাজী মিজান পাখির মতো গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা করেছে। কয়েকজনকে আরও আহত করেছে।
ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও জাতীয় শ্রমিক ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন ফারুক আহম্মেদ তিতাস এর সঞ্চালনায়
প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ট পুত্র সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন,মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠিক সম্পাদক এইচএম জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, গাজী ইলিয়াছুর রহমান, ফরাজি কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, মতলব উত্তর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পারভিন শরীফ,মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান,ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী মনির হোসেন বেপারী, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর ১ নং ওয়াড আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হক,নারায়নগঞ্জ জেলা যুব লীগের সদস্য আশ্রাফুল হাসান, ফরাজি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি কবির হোসেন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাজান মোল্লা, সাবেক ছাত্র লীগ নেতা মোঃ বাতেন, ফরাজি কান্দি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক এসএম রোমান দেওয়া, ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পলাশ দেওয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন প্রধান,গাজী নাসিম রানা প্রমূখ। এসময় উপজেলা অঅওয়ামীলীগের সদস্য বাবু রাদেশ্যাম সাহা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছোবহান, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট সেলিম মিয়া, উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা মুহিবুল হক চৌধুরী সুমিত, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রুবেল মিয়া বাবু, উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন, মতলব উত্তর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, শ্রমিকলীগ নেতা খোরশেদ চৌধুরী,যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম রনি, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল, ঢাকা বিমানবন্দর থানা যুবলীগ নেতা আল-আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জোবাইর আহম্মেদ জনি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ১৯ জুন ২০২৩