Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / মতলবে ১৫ বছর পর হারানো পিতাকে ফিরে পেলো সন্তানরা
Loss-father

মতলবে ১৫ বছর পর হারানো পিতাকে ফিরে পেলো সন্তানরা

দীর্ঘ ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন পিতাকে পেয়ে যেমন খুশি সন্তানরা তেমন সজন ও এলাকাবাসী। সাংবাদিকদেও বৃদ্ধ পিতা অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই হারানো পিতাকে কাছে পেয়েছে বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সন্তান ও স্বজনরা।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পাচকীপাড়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন আবুল খায়ের ওরফে নলু মিয়া (৬৫) নিখোজ হয় বিগত ১৫ বছর পূর্বে অর্থাৎ ২০০৩ সালে।

সতক্ষীরার সাংবাদিক আবুল কাশেম এবং চাঁদপুরের দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি শাহ মোঃ মাকসুদ ও মতলব প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল চন্দ্র দাসের যোগাযোগের মাধ্যমে ১৫ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া নলু মিয়াকে ফিরে পেয়েছেন বলে জানান তার ছেলে মোঃ শাহজাহান সরকার।

তিনি বলেন, বিগত ১৫বছর আগে (২০০৩ সালে) বিকেলে পাশ্ববর্তী দোকানে চা ও পান খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় তার পিতা নলু মিয়া। রাতের মধ্যে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হন তার পরিবার সহ এলাকাবাসী। দীর্র্ঘ দিনে খুজে না পাওয়ায় নলু মিয়ার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পরেন এবং কয়েক মাস পর স্বামীর শোকে স্ত্রী মারা যান। নলু মিয়ার দুই ছেলে পাঁচ মেয়ে রয়েছে। এদিকে নলু মিয়াকে খুঁজতে মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ৮ জুলাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে সন্ধান মিলে ১৫ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া নলু মিয়ার।

নলু মিয়াকে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যে সাতক্ষীরার সাংবাদিক আবুল কাশেম যোগাযোগ করেন দৈনিক সংবাদের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহ মাকসুদের সাথে। তিনি যোগাযোগ করেন মতলব প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাসের সাথে। পরে শ্যামল চন্দ্র দাস সাথে সাথে নলু মিয়ার পরিবারকে অবহিত করলে তারা খুলনার সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার ত্রিশমাইল এলাকা থেকে গত ৯ জুলাই উদ্ধার করে নিজ বাড়ি মতলবে নিয়ে আসে।

নলু মিয়াকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলামের নিকট নিয়ে আসলে তিনি তার আবাসনের জন্য টিন ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন। অপরদিকে নলু মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মাহাবুবুর রহমান তার ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক