Home / শীর্ষ সংবাদ / নদী বাড়ি রেস্টুরেন্টে প্রথম পরিচয়, অতঃপর নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
নদী বাড়ি রেস্টুরেন্টে

নদী বাড়ি রেস্টুরেন্টে প্রথম পরিচয়, অতঃপর নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার অভিযোগে দুই জনকে আটক করে পুলিশ।

২৪ মে সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৩ মে রোববার বিশ বছরের এক তরুণী থানায় এসে ৪ জনের নামে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু সঠিক ভাবে কোন নাম ঠিকানা দিতে পারেনি। এরই মাঝে আমরা ঘটনাস্থল ছুটে যাই এবং জড়িতদের খুজে বের করার অভিযান চালানো হয়।

২৪ মে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়, যার মামলা নং ১৯/১৪৫।

ধর্ষনের মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়, এরা হলেন, পৌর এলাকার রান্ধুনীমুড়া শুকু কমিশনারের বাড়ীর ইউসুফের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩২) ও বালু ( ২১), ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা মাঝি বাড়ির মান্নানের ছেলে মহিনউদ্দিন (২৬) ও মূল প্রেমিক নোয়াদ্দা গ্রামের দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিল (২৫)।

আসামিদের মধ্যে মহিন ও শাকিলকে আটক করা হয়।

ভিকটিমের বর্ণনা অনুযায়ী ওসি বলেন, গত ২২ মে শনিবার বিকালে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়শরা গ্রাম থেকে তরুণী হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়ার পাড় নদী বাড়ি রেস্টুরেন্টে একা ঘুরতে যায়।

রেস্তোরাঁর পাশ্ববর্তী নোয়াদ্দা গ্রামের দুলাল মিয়াজীর ছেলে শাকিলের সাথে প্রথম পরিচয় হয়। রাত যখন ৯টা তখন তাকে নদী বাড়ি রেস্টুরেন্ট এর আধাঁ কিলো দূরে পরিত্যাক্ত নির্জন স্থানে কৌশলে নিয়ে যায়। সেখানে অভিযুক্ত আরো তিন জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরের দিন সকাল বেলায় তরুণী সিএনজি যোগে উঠে হাজীগঞ্জ বাজারে রওনা হয়। পথেই সিএনজির ড্রাইভারকে সব কথা খুলে বলেন। পরে সিএনজি চালক হাজীগঞ্জে আসলে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীর কাছে নিয়ে আসে।

পুলিশের কিলো ডিউটি অফিসারের মাধ্যমে থানায় আসার পর বর্ণনার ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়।

এদিকে সোমবার আটকতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়, এবং ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়, ২৪ মে ২০২১