নদীবন্দরে সতর্কতা সংকেত, যেকোনও সময় কালবৈশাখী

ঈদের ছুটি শেষে কাজের টানে ঢাকায় ফিরবে মানুষ। বাস, বিমান, ট্রেনের পাশাপাশি লঞ্চ, স্টিমারেও ফিরবেন তারা। এদিকে এখন চলছে কালবৈশাখীর মৌসুম। যেকোনও সময় হানা দিতে পারে প্রচণ্ড ঝড়। তাই আবহাওয়ার বার্তা দেখে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, এই মৌসুমে যেকোনও সময় কালবৈশাখী হতে পারে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এখন এর গতি কিছুটা কম হতে পারে।

লঞ্চ ও স্টিমারে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা দেখে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, এখন নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে। এটি আগামীকালও থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়— রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকানোসহ বজ্র বৃষ্টি পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদীবন্দরের জন্য দেওয়া বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিলেট, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের অর্থ হচ্ছে, বন্দর এলাকা ক্ষণস্থায়ী ঝড়ো আবহাওয়ার কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিবেগের কালবৈশাখীর ক্ষেত্রেও এই সংকেত দেখানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এই সতর্কবার্তা ছয় ঘণ্টা পর পর পরিবর্তন করা হয়।

Share