চলতি বোরো মৌসুমে ‘কৃষকের এ্যাপস’র মাধ্যমে নিবন্ধিত কৃষকরা ধান বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অন্য বছরের তুলনায় বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরাও সরকারের নিকট ধান বিক্রি করতে আগ্রহী্ ।
বাজারের চাইতে মূল্য বেশি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষক। চাঁদপুর জেলা ধান ও চাল সংগ্রহে সরকারের নির্ধারিত লক্ষমাত্র অর্জনে এখন পর্যন্ত পাশবর্তী জেলার তুলনায় এগিয়ে। ধান ও চাল ক্রয় পক্রিয়া অব্যাহত থাকবে আরো আড়াই মাস।
চাঁদপুর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নদী বেষ্টিত চাঁদপুরের ৮ উপজেলায়ই কম বেশি বোরো ধানের আবাদ রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে সরকার অভ্যন্তরীণ খাদ্য শস্য সংগ্রহের জন্য জেলায় ৮০৮৬ মেট্টিক টন বোরো ধান ও ৭১০১ মেট্টিক টন সিদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৭ টাকা এবং সিদ্ধা চালের মূল্য নির্ধারণ হয় ৪০ টাকা।
৯ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ধান ৬৫.১০ % ও সিদ্ধ চাল ৬২.৪২% সংগ্রহ হয়েছে। আগামি ১৬ আগস্টের মধ্যে লক্ষ্যমাত্র অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জেলা খাদ্য বিভাগ।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরে ১৬ জুন পর্যন্ত ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫,২৬৪ মে.টন ধান , ৪,৪৩৬ মে.টন সিদ্ধচাল ক্রয় করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) নিত্যানন্দ কুন্ডু বলেন,‘চাঁদপুর জেলা ৩১ মে পর্যন্ত সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধান ৬৫% ও চাল ৬২% সংগ্রহ হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা রয়েছে জুনের মধ্যে ৭৫% লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। আশা করি এবার তা সফল হবে।’
এদিকে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ,যে কৃষকের কৃষিকার্ড আছে তিনিই ধান দিতে পারেবেন।’
আবদুল গনি , ১৭ জুন ২০২১