ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.ফরিদুল হক খান বলেছেন,‘ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দুষ্টুচক্র অনেক সময় ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে।’
এ অশুভ কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,এ বিষয়ে দল,মত,ধর্ম নির্বিশেষে সকল জনগণকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
তিনি আজ বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বা সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘তথ্য যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়ে যুব সমাজকে আরও বেশি সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা মিথ্যা তথ্য পেলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করে সমস্যার সমাধান চাইতে হবে।
তিনি বলেন,‘ যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল,বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জীবন নাশের চেষ্টা করেছিল, যারা দেশের বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করেনা,তারাই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায়। আগামী দিনে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে ।‘
ফরিদুল হক খান বলেন,‘ সকল ধর্মের অনুসারীদের কল্যাণে ১২ বছরে ব্যাপক পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানাদি পালন সহজ, উৎসবমূখর ও উন্নত হয়েছে। এক শ্রেণির অশুভ শক্তি দেশের এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশকে মেনে নিতে পারেনি। তারাই বিভিন্ন অজুহাতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ।‘
সংলাপে আলোচকরা প্রাথমিক পর্যায় হতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্তঃধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে শিক্ষা দান,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত ভাবে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন,প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ প্রদান এবং যেখানে সেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা উপাসনালয় না করে পরিকল্পিত বা উপযুক্ত স্থানে এ সকল প্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে সুপারিশ করেন।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে.এম. আরিফুর রহমান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ফজলুল হক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন,সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ফজলে সাঈদ বাবু, নজিবুল হক,মোড়েলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল আলম বাচ্চু,চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল,মংলা উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, বাগেরহাট
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. মিলন ব্যানার্জি,বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট মসজিদের খতিব মাও.রুহুল আমিন,বাগেরহাট আলীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও.আবুল কালাম,বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা ড.আব্দুল মোমেন সিরাজী প্রমূখ।
১২ নভেম্বর ২০২১