Home / সারাদেশ / জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে বেড়েছে সব নিত্যপণ্যের দাম
জ্বালানি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারে বেড়েছে সব নিত্যপণ্যের দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, আলু, তেল, আটা-ময়দাসহ বেড়েছে বেশ কিছু পণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় শ্রমিকদের মজুরিও বেশি দিতে হচ্ছে। পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পণ্যের বাজারমূল্য সরকারি হিসাবের সঙ্গে মিলছে না।

বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। সরকারি প্রতিষ্ঠান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে খুচরা বাজারে এর যৌক্তিক মূল্য হবে ৫৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। টিসিবির বাজারদরের হিসাবে খুচরা বাজারে ৫৮ টাকার নিচে কোনো সরু চাল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ সর্বনিম্ন দামের সরু চাল কেজিপ্রতি তিন টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে গতকাল মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪৩ টাকা কেজি। কৃষি বিপণনের হিসাবে মোটা চালের খুচরা মূল্য হবে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা কেজি।

খুচরা বাজারে মোটা চাল কিনতে লাগছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। চাল গত সপ্তাহেও এই দামে বিক্রি হয়েছে। অথচ এরই মধ্যে আমনের মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সে হিসাবে দাম কমার কথা। মালিবাগ বাজারের মরিয়ম স্টোরের বিক্রেতা আলমগীর বলেন, চালের দাম যেটুকু কমত, তা তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচে চলে যাচ্ছে। তাই এবার দাম কমতে সময় লাগবে।

খোলা সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। চার থেকে ৯ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার তেলের সরকার নির্ধারিত দাম ১১৮ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৮ টাকা।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে ছোট ও বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯২ টাকা কেজি। সরকারি হিসাবে মসুর ডালের খুচরা মূল্য হওয়ার কথা ৮৬ থেকে ৯৯ টাকা, আর বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। বাজারে মানভেদে মুগ ডালের সরকারি মূল্য ৮১ থেকে ১২৩ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে খোলা চিনির সরকার নির্ধারিত মূল্য সর্বোচ্চ ৭৪ টাকা কেজি, আর বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ময়দার দাম কেজিপ্রতি এক থেকে তিন টাকা বেড়েছে। ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজির ময়দা এখন ৪৩ থেকে ৪৮ টাকা কেজি।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর যে কয়টি পণ্যের দাম বেড়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো পেঁয়াজ। ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া আমদানির পেঁয়াজ এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৫২ টাকায়ও পাওয়া গিয়েছিল। কৃষি বিপণনের হিসাবে দেশি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য হবে ৫৩ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আমদানি পেঁয়াজ হবে ৩৯ থেকে ৪৭ টাকা। সে হিসাবে ছয় থেকে আট টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের মতো কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে দেশি নতুন আদার দাম, ১০ টাকা বেড়েছে আমদানির হলুদে ও ১০ টাকা শুকনা মরিচে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, বাজারে আলুর খুচরা মূল্য হবে ১৮ থেকে ২২ টাকা, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি। সরকারি হিসাবে সব ধরনের বেগুনের খুচরা মূল্য হবে ৩৮ থেকে ৫৬ টাকা কেজি, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ১২০ টাকায়। একইভাবে মুলা, বাঁধাকপি, শিম, কাঁচা মরিচ, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।