Home / সারাদেশ / থাকেন দুবাইয়ে, ককটেল ফাটালেন শরীয়তপুরে !
থাকেন দুবাইয়ে, ককটেল ফাটালেন শরীয়তপুরে !

থাকেন দুবাইয়ে, ককটেল ফাটালেন শরীয়তপুরে !

আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে শরীয়তপুরের সখিপুর থানায় দুবাই প্রবাসী এক ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী মামুন চৌধুরী (৩৫) দেড় মাস ধরে দুবাইতে কর্মরত আছেন। তিনি দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের খলিল মালের কান্দির বাসিন্দা মৃত হারিস চৌধুরীর ছেলে।

শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মালবাজারে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ককটেল বিস্ফোরণে তিনি অংশ নিয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মানিক বাদী হয়ে সখিপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ মামলায় বিএনপি সমর্থিত ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুম বালা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুদ্দিন দর্জিসহ ২৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামুনের স্বজন ও অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে জীবিকার তাগিদে মামুন চৌধুরী দুবাইতে পাড়ি জমায়। বর্তমানে তিনি দুবাইতেই আছে। এর আগেও তিনি ১২ বছর দুবাইতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত শনিবার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অন্যান্য বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মামুনকেও আসামি করা হয়।

মামুনের স্ত্রী মনি বেগম বলেন, আমার স্বামী অনেক দিন আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু শত্রুতা করে তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি এ মিথ্যা মামলা থেকে আমার স্বামীর মুক্তি চাই।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বেপারী ও সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরদার বলেন, এই মামলাটি একটি সাজানো নাটক। ঘটনার দিন কোনো বিএনপি নেতা ওই ঘটনাস্থলে ছিল না। প্রচার-প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির সাধারণ কর্মীদের নামে এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলার বাদী দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মানিক বলেন, তালিকায় নাম ভুল হতেও পারে। তবে তা সংশোধন করা যায়। কেউ বিদেশে আছে কিনা তা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন। (যুগান্তর)

বার্তা কক্ষ
০৫ ডিসেম্বর,২০১৮